ভরা মৌসুমেও সবজির দাম নাগালের বাইরে, ক্রাতা সাধারণের নাভিশ্বাস
Share on:
চাল, ডাল, ডিম, চিনি ও তেলসহ প্রায় প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম এখন আকাশচুম্বী। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দামে নাভিশ্বাস ক্রাতা সাধারণের। তবে সবচেয়ে অবাক করা বিষয় ‘শীত ফিরলেও স্বস্তি ফেরেনি সবজির বাজারে’। ভরা মৌসুম চললেও মুলা ও পেঁপে বাদে বাকি প্রায় সব সবজির দাম চড়া।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে শীতকালীন সবজির প্রচুর আমদানি থাকলেও সে অনুযায়ী কমেনি দাম। এতে অস্বস্তিতে স্বল্প আয়ের মানুষ।
এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, দোকান ভাড়া, আমদানি ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি সবজির বাজারে অস্বস্তির মূল কারণ।
আজ শীতকালীন অধিকাংশ সবজি ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে শিম, পটলের তুলনায় অন্য সবজির দাম বেশি। প্রতিটি ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা, বাঁধাকপি ও চালকুমড়াও বিক্রি হচ্ছে একই দামে।
অন্যদিকে বরবটি, করলা, বেগুন, কচুর্মুখী, কাকরোল, ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজি বাজারভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাকা বা আমদানি টমেটোর কেজি ১১০ থেকে ১২০, গাজর ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি।
সবজির দাম না কমার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা হাসান আলী বলেন, পাইকারি বাজারে দামের খুব একটা কমবেশি হয় না দু-এক টাকা ওঠানামা করে। তবে, দোকান ভাড়া, আমদানি ও পরিবহন ব্যয় বাড়ার কারণ এবার শীতের সবজির দাম বেশি।
মহাখালী কাঁচাবাজার ও মিরপুর বাজার ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে। ভরা মৌসুমেও সবজির দাম নাগালের বাইরে।
রফিকুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দামে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকারিভাবে নিয়মিত মনিটরিং করা হলে দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এতে বিশেষ করে নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষেরা বেশি উপকৃত হবে।
অন্যদিকে মুদি বাজারেও মিলছে না কোনো সুখবর। বরং বাজারে আরেক দফা বেড়েছে চাল, তেল, আটা, ময়দা ও চিনির দাম। এতে সাধারণ মানুষ আরও বিপাকে পড়েছেন।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে মোটা চালের দাম না বাড়লেও বেড়েছে চিকন চালের দাম। সরকারের বিপণন সংস্থা টিসিবি চিকন চালের কেজি ৩ টাকা বাড়িয়ে ৬৫ থেকে ৭২ টাকা, মাঝারি বা পাইজাম চাল ২ টাকা বেড়ে ৫৪ থেকে ৬০ টাকা এবং মোটা চালের কেজিতে ২ টাকা বাড়িয়ে ৪৮ থেকে ৫৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্যাকেটজাত আটা কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট ময়দায় ৫ টাকা বেড়ে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সয়াবিন তেল ও চিনির দাম আরও বেড়েছে গত ১৭ নভেম্বর থেকে। এখন সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। আর প্যাকেটজাত চিনি কেজিতে ১২ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হয়েছে ১০৭ টাকায়। যদিও বাজারে নির্ধারিত দামের তেল পাওয়া গেলেও মিলছেনা চিনি।
বিশেষ প্রতিবেদন/এমআই