tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
অর্থনীতি প্রকাশনার সময়: ০৩ জুন ২০২৩, ১২:৪৯ পিএম

মুরগির বাজার দরে আগুন, পুড়ছে ডিম-পেঁয়াজ


53

গত দুই মাস আগেও বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে। এরপর নানা উত্থান-পতনের পরে গত সপ্তাহে নিম্নআয়ের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণের এই প্রধান পণ্যটি বিক্রি হয়েছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম।


গত শুক্রবার (২ জুন) এটি বিক্রি হয়েছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। একই সাথে বেড়েছে ডিমের দাম।

গত সপ্তাহে ১৩৫ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিম গতকাল বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা ডজন। আগে থেকেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। নিত্যপণ্যেও এমন অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ক্রেতারা। গতকাল রাজধানীর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

গত বৃহস্পতিবার (১ জুন) প্রস্তাবিত বাজেটে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসার সুখবরের অপেক্ষায় ছিলেন সাধারণ মানুষ। তবে সেটি না হয়ে বরং উল্টো বাজেটে নিত্যপণ্যের মধ্যে বাড়তি দামের তালিকায় যুক্ত হয়েছে বেশির ভাগ পণ্য।

গতকাল খিলগাঁওয়ে বাজার করতে আসা মুনজুরুল বলেন, তেল, চিনি, ডালের মতো আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম যে হারে বেড়েছে, ভেবেছিলাম বাজেটে সেসব পণ্যের দাম সহনীয় করতে কোনো না কোনো পদক্ষেপ থাকবে। কিন্তু নেই। বরং দেখলাম, অনেক পণ্যের দাম বাড়ছে। সে জন্য বলা যায় বাজেট আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতার জন্য কোনো সুখবর নিয়ে আসেনি।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের পর থেকে দফায় দফায় দাম বেড়ে আলু এখনো প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই অবস্থা পেঁয়াজ ও আদার দামেও। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বাজারভেদে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা আর আদার দাম বাড়তে বাড়তে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি পর্যন্ত উঠেছে। এ দুই পণ্যের দাম রমজানের ঈদের পর থেকে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।

এ দিকে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, আগে থেকেই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে তেল, চিনি, আটা-ময়দা। পাশাপাশি আছে কিছু পণ্যের সরবরাহ সঙ্কটও। যেমন- প্যাকেটজাত চিনি ও ময়দা বেশির ভাগ দোকানে নেই। বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও মুদি দোকানিরা বলছেন ঘাটতি আছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে অধিকাংশ তেল-চিনি পরিশোধনকারী কোম্পানি নতুন করে পণ্য সরবরাহ করেনি। দ্রুত সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এসব পণ্যের দাম আরো বাড়তে পারে বলে শঙ্কা খুচরা ব্যবসায়ীদের।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পটোল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৭০, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৪০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা এবং শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। অন্য দিকে চাল কুমড়া পিস ৬০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৭০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ টাকা, কাঁচাকলা প্রতি হালি ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির উত্তাপ এখন ছড়িয়েছে মাছের বাজারেও। প্রকারভেদে সাধারণ চাষের মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ৫০ থেকে ২০০ টাকা। প্রতি কেজি পাঙ্গাশ ১৯০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া মাছের কেজি হয়েছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। প্রতি কেজি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১০০০ টাকায়। তাজা রুই, কাতলা, মৃগেল বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি দরে। দেশি প্রজাতির টেংরা, শিং, গচি ও বোয়াল মাছের কেজি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে পাট শাক জোড়া আঁটি ৩০ টাকা, কলমি শাক জোড়া আঁটি ২০ টাকা, কচু দুই আঁটি ২০ টাকা, লাল শাকের জোড়া আঁটি ৩০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা, শাপলা ডাঁটা ১০ টাকা, ডাঁটা শাক ১০ টাকা, সবুজ ডাঁটা ২০ টাকা আঁটিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ধনে পাতা ১০০ গ্রাম ৩০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

এন