tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আইন আদালত প্রকাশনার সময়: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১৫:৫২ পিএম

ছনের বাড়ি থেকে আলিশান ভবন, আরও যত সম্পদের মালিক আরজিনা


image-824523-1720172031

বর্তমানে রাজস্ব বোর্ডের মূসক মনিটরিং, পরিসংখ্যান ও সমন্বয়ের দ্বিতীয় সচিব আরজিনা খাতুন। এর আগে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপকমিশনার ছিলেন তিনি।


আরজিনা ছাগলকাণ্ডে আলোচিত ওএসডি রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বান্ধবী বলে জানা গেছে। বন্ধু মতিউরের সহায়তায় তিনিও বানিয়েছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়!

আরজিনার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর নারোয়া ইউনিয়নের তালুতপারা গ্রামে। কাস্টমসে চাকরির তিন বছরের মধ্যে গ্রামের ছন আর টিনের বাড়িটিকে বদলে করেছেন আলিশান এক ভবন।

রাজধানীতে বিলাসবহুল ইন্টেরিয়রে মোড়ানো ফ্ল্যাট, গ্রামে আলিশান বাড়ি, পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে জমিসহ বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি।

দুদকের কাছে জমা পড়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাত্র তিন বছরে আরজিনা কিনেছেন অন্তত ৫০০ ভরি স্বর্ণালংকার। যার ২০০ ভরিই চোরাচালানের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আনা হয়েছে।

আরও জানা গেছে, রাজধানীর মিরপুরে প্রায় ২ হাজার বর্গফুটের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে তার। ১ কোটি ৩০ লাখ টাকায় কেনা ফ্ল্যাটটিতে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। কিন্তু রেজিস্ট্রেশনসহ দলিলে ফ্ল্যাটটির দাম দেখানো হয়েছে মাত্র ৬৮ লাখ।

ওই ফ্ল্যাটটি কেনার জন্য ২০২০ সালে ব্যাংক ঋণ নেন তিনি।

কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ঋণ নেওয়ার ১ বছর আগেই ফ্ল্যাট কিনে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেন। তাও ঋণের টাকার দ্বিগুণ দামে। প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ করে বাসায় বিলাসবহুল আসবাব ও অত্যাধুনিক ইন্টেরিয়র করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, চট্টগ্রামে বদলির পর ২০২২ সালেই গ্রামে তার পরিবারের সদস্যদের নামে কিনেছেন ৫টি জমি। যার বাজারমূল্য অর্ধকোটি টাকা। সেসব জমির দলিলও এসেছে যুগান্তরের হাতে। এছাড়াও গ্রামে আরও প্রায় এক কোটি টাকার জমি বন্ধক নিয়েছেন আরজিনা। তার ঘনিষ্ঠজনরা জানান, আরজিনার ব্যবহৃত বেশিরভাগ গহনাই অনেক দামি। তার অন্তত ১০ লাখ টাকা মূল্যমানের হীরার গহনা রয়েছে।

২০২২ সাল থেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা শুরু করেন আরজিনা। গড়ে প্রতিদিন ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন তিনি। লাভও করতেন প্রায় দ্বিগুণ। আছে ৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, বিনিয়োগ আছে সঞ্চয়পত্রে।

সূত্র বলছে, মতিউরের সঙ্গে একই ব্রোকারেজ হাউসে একইরকম বিনিয়োগ ছিল আরজিনার। প্লেসমেন্ট বাণিজ্য এবং অন্যান্য কারসাজির মাধ্যমে বান্ধবীকে আরজিনাকে পুঁজিবাজার থেকে অঢেল সম্পদের মালিক বানিয়েছেন মতিউর।

এমএইচ