কলম সৈনিক-শব্দ সৈনিকরাও মুক্তিযোদ্ধা : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী
Share on:
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, কেবল আমরা যারা প্রত্যক্ষ সম্মুখসারিতে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেছি তারাই মুক্তিযোদ্ধা নই। যারা কলম সৈনিক, শব্দ সৈনিক রয়েছেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। নতুন করে কেউ মুক্তিযোদ্ধার আবেদন করতে পারবেন না। নতুন করে কেউ মুক্তিযোদ্ধা হতে পারবেন না। শুধু আপিল ব্যুরোর নিষ্পত্তির মাধ্যমে পাঁচশ বা এক হাজার সংযুক্ত হতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ডিআরইউ সদস্য সংবর্ধনা ২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সাংবাদিক বন্ধুরা যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ করেছেন। যুদ্ধকালে পত্রিকা বের হতো। সাংবাদিকরা বাংলার মানুষের কাছে মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বের কথা পৌঁছে দিয়েছেন। যারা এসময় কাজ করেছেন তারাই কলমসৈনিক মুক্তিযোদ্ধা। যারা চরমপত্র কিংবা রেডিওতে শব্দসৈনিক রয়েছে তারও মুক্তিযোদ্ধা।
বর্তমান সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নানান সুবিধা দিচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা সেবা বিনামূল্যে পাবেন মুক্তিযোদ্ধারা। নতুন একটা নীতিমালা করা হয়েছে। এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেটা প্রচার না থাকায় অনেকেই জানেন না। আমরা শিগগির সংবাদ সম্মেলন করে সেটা দেশের মানুষকে জানাবো।
সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের দেশে অনেকে অনিচ্ছায় মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেছে। আর কেউ যুদ্ধে গেছেন ইচ্ছাকৃতভাবে। আমাদের নেতারা নেতৃত্ব দিয়েছেন বলেই আজকে আমাদের দেশটি স্বাধীন হয়েছে। আমরা তাদের সহযোগিতা করেছি। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আজকে আমাদের সংবর্ধনা দিচ্ছে, আমরা আনন্দিত। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অনেকেই এখনো ডিআরইউ সদস্য নয়। তাদেরও যদি এখানে সংবর্ধনা দেওয়া যেত তাহলে আমি আরও আনন্দিত হতাম।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, যারা একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছেন, বাংলাদেশকে একটি মানচিত্র দিয়েছেন তাদের আমাদের সম্মাননা জানানো উচিত। ৫০ বছরে তাদের সম্মাননা জানাতে পেরে আমরা গর্বিত।
এ সময় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাফি বক্তব্য দেন। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন, নারীবিষয়ক সম্পাদিকা তাপসি রাবেয়া আঁখি, কার্যনির্বাহী সদস্য হাসান জাভেদসহ ডিআরইউ’র সাবেক ও বর্তমান নেতারা।
এমআই