স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর বিদ্যুৎ পেল কাশ্মীরের তেথান
Share on:
স্বাধীনতার প্রায় ৭৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন প্যাকেজ প্রকল্পের অধীনে বিদ্যুৎ পেলেন ভারত নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণ কাশ্মীরের পাহাড়ি অঞ্চলের অনন্ত নাগ জেলার ডোরু ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম তেথান। ওই গ্রামের লোক সংখ্যা আনুমানিক ২০০ জন।
যুগের পর যুগ ওই এলাকায় কোনো বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল না। ফলে সেখানে অন্ধকার নামলেই স্থানীয়রা বিকল্প উপায়ে বাড়ি আলোকিত করে রাখতেন।
আলোর উৎস হিসেবে বিভিন্ন তেলের বাতি বা মোমবাতি জ্বলত বাড়িগুলোতে। রাতে চাঁদের আলোর উপরও নির্ভর করতেন বাসিন্দারা।
রোববার (৮ জানুয়ারি) পাহাড়ি প্রত্যন্ত গ্রাম তেথানে বিদ্যুৎ সরবরাহ হওয়ার পর প্রথমবার বাল্ব জ্বালিয়ে গ্রামের বাসিন্দারা আনন্দ উপভোগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রতি এসময় তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য কাজ করার জন্য।
তেথানের বাসিন্দা ফজুল উদ্দিন খান জানান, ‘আমরা আজ প্রথমবারের মতো বিদ্যুৎ দেখেছি। আমাদের ছেলেমেয়েরা এখন বিদ্যুতের আলোতে লেখাপড়া করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের শক্তির প্রয়োজনের জন্য কাঠের ওপর নির্ভর করতাম। আমাদের সমস্যা এখন সমাধান হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আমরা সরকার ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে কৃতজ্ঞ।’
জাফর খান নামে গ্রামের অপর এক বাসিন্দা জানান, ‘আজ আমরা ভাগ্যবান যে সরকার বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে।’
বিদ্যুৎ অধিদফতরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘ওই গ্রামে দ্রুত বিদ্যুৎ আনা হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে কাজ শুরু হয়েছিল ২০২২ সালে।
তিনি আরও জানান, আমরা এখানে একটি ৬৩ কিলো ভোল্টের ট্রান্সফরমার লাগিয়েছি।’সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
বৈদ্যুতিক বিভাগ সূত্রে, সমগ্র ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যবহার করা হয়েছে ৬৩ (KV) ট্রান্সফর্মার, সাথে রয়েছে ৩৮টি হাইটেনশন তার এবং ৯৭টির মতো বৈদ্যুতিক খুঁটি। আপাতত ওই গ্রামের ৬০টি বাড়িতেই এসেছে আলো।
এন