tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৫০ এএম

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালসমূহ দখলে নেওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন


1

সরকারি মদদে কট্টর ইসলামী বিদ্ধেষী চক্র কর্তৃক দেশের অন্যতম প্রাচীন ও আলোচিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ অন্যান্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির অবৈধ দখল করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে রাজধানীতে মানববন্ধন করেছে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস সাপোর্ট ফোরাম।


6

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহেরই নিজস্ব ট্রাস্টি বোর্ড থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় নর্থ সাউথ, শান্তা মরিয়াম, মানারাতেরও ছিলো। সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ ট্রাস্টি বোর্ড ভেঙ্গে দিয়ে নিজস্ব লোকদের মাধ্যমে তা গঠনের উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষতিসাধক করছে। আমরা শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যহৃত হওয়ার আশঙ্কাবোধ করছি। সম্প্রতি নর্থ সাউট ও শান্তা মারিয়ামের পর মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, শিক্ষা ও নৈতিকতার উৎকর্ষ সাধনের স্লোগান দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল 'মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়'। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনায় ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী এক ঝাঁক স্বপ্নচারী দ্বীনদার শিক্ষাবিদ মানারাতের সাথে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে এখন বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়টি দখলে নেওয়ার পায়তারা করছে একদল কট্টোর ইসলাম বিদ্বেষী ব্যক্তি। আর তারা এই কাজটি করছে নীতি নির্ধারনী ট্রাস্টি বোর্ড পরিবর্তন করে। সীমাহীন দুর্নীতিগ্রস্ত বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করছে। মানারাতের পর তাদের এই কালো হাত আরো অনেক প্রতিষ্ঠানে প্রসারিত হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি জবর দখলে নিতে গঠন করা হচ্ছে নতুন বোর্ড অব ট্রাস্টিজ। কিন্তু মানারাতের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মকর্তা, শুভানুধ্যায়ী এই দখলদারিত্ব মেনে নিবে না। এ অপচেষ্টার প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থী আরো বলেন, এ ধরণের ঘৃণ্য এবং দেশকে শিক্ষাহীন করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ দখলের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে বৈঠক ডাকার সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে হাজার হাজার সাধারণ শিক্ষার্থী। দখলবাজদের এই ধরণের ঘৃণ্য অপচেষ্টা যে কোন মূল্যে তারা প্রতিরোধ করবে। এ দখলবাজি সিদ্ধান্ত সরকারের প্রতি জনরোষ বাড়িয়ে দিবে ও বিতর্কিত করবে। এ অবস্থায় আমাদের দাবি হলো, অবিলম্বে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিতে অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। মানারাত, সান্তা- মরিয়ম, নর্থ- সাউথ, আইআইইউসিসহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বোর্ড অব ট্রাস্টি দখল করে অবৈধ ভাবে অর্থ লুটপাট করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ক্যাম্পাস নিয়ে সকল ধরনের অপরাজনীতি বন্ধ করতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০০১ সাল থেকে সুনামের সাথে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। 'মানারাত ট্রাস্ট' গঠিত হয় ১৯৮১ সালে। তবে মানারাত শুরু হয়েছিল ১৯৭৯ সালে একটি কিন্ডার গার্ডেন স্কুল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। পর্যায়ক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা চালু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানারাত পূর্ণতা পায়। বাংলাদেশকে শিক্ষাহীন করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একটি দখলবাজ চক্র মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ দখলের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে। এমন কি পুরাতন বোর্ড অব ট্রাস্টিজ বাদ দিয়ে এই দখলবাজদের দেশবিরোধী চক্রটি নিজেদের পছন্দের লোকদের বসাতে বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় বৈঠক ডাকা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. মো: ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠির সূত্রে জানা গেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। রহস্যজনক বিষয় হচ্ছে, এই বৈঠকে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজ দখলের জন্য বৈঠকে ডাকা হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক (এনএসআই) এবং পুলিশের একজন অতিরিক্ত মহাপরিদর্শককে।

একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ দখলে নিতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ও পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শককে উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এইচএন