কিশোরগঞ্জে বড় বন্যার আশঙ্কা
Share on:
টানা দুই দিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কিশোরগঞ্জ হাওরের কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শনিবার (১৮ জুন) দিকে জেলার ইটনা, মিঠামইন ও নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টানা দুই দিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সঙ্গে মিঠামইন ও নিকলী উপজেলার কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বেশি প্লাবিত হয়েছে ইটনা উপজেলা। ইটনা উপজেলার প্রায় ৮০ ভাগ এলাকা ইতোমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। এভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে এ উপজেলাগুলোতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেবে। যেসকল এলাকা প্লাবিত হয়েছে সেই এলাকার মানুষ ইতোমধ্যেই বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছেন।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় যে ১৭টি জেলায় বন্যা হবে তার মধ্যে কিশোরগঞ্জের কথাও বলা হয়েছে। কিশোরগঞ্জে হাওর এলাকার অনেক এলাকা ইতোমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন পয়েন্ট গড়ে ৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা আক্তার জানান, ইটনা উপজেলার ৮০ ভাগ এলাকা ইতোমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। ইটনা উপজেলার বন্যাকবলিত মানুষজন ইটনা সদরে অবস্থিত সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে সকাল থেকেই প্লাবিত এলাকার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ তথ্যগুলো জেলায় পাঠানো হবে।
নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু হাসান জানান, ইতোমধ্যেই উপজেলার কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জে যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, এভাবে বৃষ্টি হলে নিকলী উপজেলার অনেক এলাকাতেও বন্যা হবে।
কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান বলেন, যেভাবে কিশোরগঞ্জের নদ-নদীর পানি বাড়ছে, তাতে সিলেট ও সুনামগঞ্জের মতো কিশোরগঞ্জের অবস্থাও ভয়াবহ হবে। গত ২৪ ঘণ্টায় গড়ে বিভিন্ন পয়েন্টের পানি ৩ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি হয়েছে। সরেজমিন দেখার জন্য হাওর এলায় যাওয়া পথে রয়েছি।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, ইতোমধ্যেই কিশোরগঞ্জ হাওরের ইটনা ও মিঠামইন উপজেলার কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ওই এলাকাগুলো পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমআই