জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতেই কারফিউ জারি : ফখরুল
Share on:
কোটা আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কারফিউ জারি এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, সরকারের বিরুদ্ধাচরণকারী জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতে কারফিউ জারির মাধ্যমে তাদের ভোগান্তিতে ফেলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু।
কোটাবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্র করে গত সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক এহসানুল হুদা, বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায়বিষয়ক সহসম্পাদক ও নওগাঁ পৌরসভার মেয়র নজমুল হক সনি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানসহ বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে এই বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, হতাহতের প্রমাণ লোপাট করা হচ্ছে। বর্বরোচিত ঘটনা বিশ্ব থেকে আড়াল করতে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। হত্যাকারী ও হামলাকারীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা যে ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন তাতে প্রতীয়মান হয়, তারা সরকারি দলের কোনো পদে অধিষ্ঠিত।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে উদ্দেশ করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন, কাল্পনিক ও বিএনপির আদর্শের প্রতি কুঠারাঘাতের শামিল। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। বিএনপি কখনোই জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিতে পারে না। এই সরকারের পদত্যাগ এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সর্বত্র সুশাসন ও আইনের শাসন কায়েম করা সম্ভব নয়। তাই আমরা আবারও এই জনবিচ্ছিন্ন ও ভোটারবিহীন সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি। তিনি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারসহ তাদের নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানান।
এনএইচ