সিলেবাসের সর্বত্র কুরআনের প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে : ড. মাসুদ
Share on:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি, বাউফলের গণমানুষের নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বাউফলে কুরআন বিতরণ অনুষ্ঠানে বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আজকে শুধু বাংলাদেশের জন্য নয় বরং গোটা বিশ্ববাসীর জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিরাট নেয়ামত।
বিশেষ করে ছাত্র তরুণ যুবকদের গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির অনুকরণীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্ব মহলে স্বীকৃত। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন নয়। এটি একটি সতন্ত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেখানে একজন ছাত্র শুধুমাত্র নিজের ছাত্রত্ব রক্ষা করে না বরং তার মনুষত্ব বা সম্মানকে অটুট রাখার জ্ঞান অর্জন করে, তার মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করে। নিজের নৈতিকমান সমৃদ্ধ করে। এর মাধ্যমে সে পরিবার, সমাজও রাষ্ট্রে একজন ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে মেলে ধরে। সে ভালো মুসলমান হিসেবে সমাজে বসবাস করে। সর্বপরি সে একজন ভালো নাগরিক হিসেবে পরিচিত হয়। আজকে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের ছাত্র তরুণদেরকে কিশোর গ্যাং এর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মাদক-নেশার দিকে এসব ছাত্ররা ধাবিত হচ্ছে। আজকে ছাত্রশিবির এসব পথহারা ছাত্রদের হাতে কুরআন তুলে দিচ্ছে। কারণ সকল সমস্যার একমাত্র এন্টিবায়োটিক বা প্রতিশেধক এই মহাগ্রন্থ আল কুরআন।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বাউফল উপজেলা শাখার উদ্যোগে কুরআন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দাওয়াহ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুদ দাইয়্যান, উপজেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক খালিদুর রহমান, ছাত্রশিবিরের পটুয়াখালী জেলা সভাপতি আলী আজগর, জেলা সেক্রেটারি হাফেজ মাহদী হাসান, জেলা সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, সাবেক জেলা সভাপতি কবির হুসাইন, মু. আল আমিন, উপজেলা ছাত্র নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, মাহে রমজান কুরআন নাজিলের মাস। এ মাসে বাংলা অর্থ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহ এই বরকতপূর্ণ কুরআন আমাদের প্রিয় বাউফলের কয়েক হাজার মানুষের হাতে পৌঁছে দিবো ইনশাআল্লাহ। কুরআন নাজিল হওয়ার কারণে রমাদান মাসের মর্যাদা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে, সেই কুরআনের সাথে সম্পর্ক করলে মানুষ হিসেবে আমাদের মর্যাদাও অনেক বেড়ে যাবে এটা সুনিশ্চিত। অধপতিত একটি সমাজ থেকে কিশোর-তরুণ-যুবক ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বাঁচানোর জন্য আমরা তাদের হাতে এই কুরআন তুলে দিচ্ছি। এই কুরআনের সাথে একজন তরুণ-যুবক যখন সম্পর্ক গড়ে তোলে তখন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার সম্মান বৃদ্ধি করে দেন। এ কুরআন মানুষকে সঠিক পথে পরিচালনার গাইডলাইন বা পথপ্রদর্শক হিসেবে ভূমিকা পালন করবে। জীবনে সফলতার মানদন্ড কেবল একজন বিসিএস ক্যাডার হওয়া নয়, একজন ডাক্তার হওয়া নয়, ইঞ্জিনিয়ার হওয়া নয়। সফলতার সঠিক উদাহরণ হচ্ছে মূল্যবোধ সম্পন্ন একজন মানুষ হিসেবে সমাজ দেশ রাষ্ট্রে সু-নাগরিক হিসেবে তৈরি হওয়া। যে ইসলাম নামাজের কথা বলে, যে ইসলাম যাকাতের কথা বলে, যে ইসলাম হজ্বের কথা বলে, যে ইসলাম কালিমার দাওয়াত পৌঁছিয়ে দেয়। সেই একই ইসলাম রাজনৈতিক সমস্ত শক্তির ঐক্য গড়ে একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা তৈরির কথাও বলে দিয়েছে। দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে রাসূল (সা) একটি রাজনৈতিক শক্তি গড়ে পুরো বিশ্বের কাছে কালিমার দাওয়াত পৌঁছিয়ে দিয়েছেন। তিনি জাহেলী মদিনাকে সোনার মদিনা রাষ্ট্রে উত্তীর্ণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আজকের বাংলাদেশকে যারা সত্যিকারের সোনার বাংলাদেশ হতে দিতে চান না তারাই পলিটিক্যাল ইসলাম বলে ধর্মকে ছোট করে কুক্ষিগত রাখতে চান। ইসলামকে আড়ালে রেখে এরা মানবরচিত ধ্যান ধারণা বাস্তবায়নে তৎপর। মুসলমানের এদেশে ইসলামকে বাদ দিয়ে যারা সোনার দেশ উন্নয়নের গল্প শোনান তা নিরর্থক ধোকাবাজি। কারণ জাহেলি মদিনা ব্যক্তিগত কোনো মতবাদ দিয়ে গড়ে তোলা হয়নি। সেখানে কুরআনের বিধান অনুসরণ করে, কুরআনের সংবিধান মেনেই সোনার মদিনা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আজকে আমাদের সামাজিক মূল্যবোধের সংকট চলছে। তাই আসুন আমরা বাউফল সহ গোটা বাংলাদেশের পরিবর্তনের জন্য কুরআনের বিধান অনুসরণ করি। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)
এন