tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১৬ পিএম

ন্যাম ভবন প্রাঙ্গণে ২ এমপির প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত


টাইম নিউজ00

সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শাহজাহান কামাল এবং সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে ন্যাম ভবন প্রাঙ্গণে তাদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার ভোর ৩টা ২ মিনিটে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া এবং ৩টা ১৯ মিনিটে এ কে এম শাহজাহান কামাল মারা গেছেন। ১৭ মিনিটের ব্যবধানে এই দুই সংসদ সদস্য মারা গেছেন।

আবদুস সাত্তার ১৯৩৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আবদুল হামিদ ভূঞা ও মা রহিমা খাতুন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। এ ছাড়া দিনি দীর্ঘদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি পদে ছিলেন।

১৯৭৯ সালে কুমিল্লা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও জুনের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে ৪ দলীয় জোট সরকার থেকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে আবদুস সাত্তার আইন, মৎস্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৮ সালের নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন।

সবশেষ ২ জানুয়ারি ২০২৩ সালে তিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কার হয়ে সংসদ সদস্য পদ হারালেও উপনির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে পুনঃনির্বাচিত হন।

এদিকে শাহজাহান কামাল প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-১১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ ও ১৮ সালের তিনি লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। এরমধ্যে ২০১৮ সালে প্রায় এক বছর তিনি বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় সক্রিয়ভাবে যুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি লক্ষ্মীপুর জেলায় গণআন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। পরবর্তী সময়ে তিনি নবগঠিত লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৫ সালে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

২০১১ সালে তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এনএইচ