দুর্ঘটনায় বিলম্বের জের এখনও পোষাতে পারেনি নীলসাগর এক্সপ্রেস
Share on:
রংপুর এক্সপ্রেস গত ২১ নভেম্বর ভোর ৫টার দিকে টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেল স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়। এই ঘটনায় উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ প্রায় ৯ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। সেই দুর্ঘটনার ফাঁদে পড়ে এখনও সময়ের ঘাটতি পূরণ করতে পারেনি নীলসাগর এক্সপ্রেসসহ উত্তরবঙ্গের আরও কিছু ট্রেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সময়ের ঘাটতি পূরণ করতে প্রতিটি ট্রেনকে ডে-অফ পর্যন্ত যেতে হবে।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে থাকা অনবোর্ড স্ক্রিনে দেখা যায়, চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস (৭৬৫) ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত সেটি ছেড়ে যায়নি, তবে সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয়েছিল সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে। কিন্তু ট্রেনটি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকায় প্রবেশ করে। সাধারণত ট্রেনটি ভোর সাড়ে ৫টায় ঢাকা প্রবেশ করার কথা ছিল। সেই হিসেবে ট্রেনটি ৬ ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকায় প্রবেশ করল। এখানে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার কথা আছে।
এছাড়া রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস (৭৭১) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি ঢাকা ছাড়ে বেলা ১১টা ১৯ মিনিটে। ট্রেনটির বিলম্ব হয়েছে ২ ঘণ্টা ৯ মিনিট।
অন্যদিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (১১টা ৪৫ মিনিট) সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস (৭১৭) বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি ছেড়ে যায়নি, ট্রেনটি বর্তমানে ৪ নং প্লাটফর্মে আছে; তারাকান্দিগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস (৭৩৫) বেলা সাড়ে ১১টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি ছেড়ে যায়নি, ট্রেনটি বর্তমানে ৬ নং প্লাটফর্মে আছে।
এ বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, গত চারদিন আগে টাঙ্গাইলে রংপুর এক্সপ্রেস যে দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছিল সেটির জেরের কারণে এখনও ট্রেনগুলো দেরিতে আসছে এবং দেরিতে যাচ্ছে। শুরুতে নীলসাগর এক্সপ্রেস ৮/৯ ঘণ্টা লেট ছিল। সেটি এখন কমে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার মতো হয়েছে। এটা স্বাভাবিক হতে আগামী ডে-অফ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আগামী রোববার ট্রেনটির ঢাকা থেকে সাপ্তাহিক বন্ধ। নীলসাগর এক্সপ্রেস আগামী সোমবার থেকে যথারীতি চলাচল করবে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ট্রেনগুলো দেরিতে আসার জন্য দেরিতে ছেড়ে যাচ্ছে। ঢাকা থেকে ছাড়তে কোনো জটিলতা নেই।
এনএইচ