tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
বিনোদন প্রকাশনার সময়: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮:০২ পিএম

টাকা দিয়ে আমাকে কেনার মতো লোক জন্মায়নি


নিপুণ-জয়

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বহুল আলোচিত সমালোচিতিএবারের নির্বাচনের বিজয়ী আন্তর্জাতিক সম্পাদক চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘টাকার বিনিময়ে আমাকে কেনার মতো লোক এখনো জন্মায়নি।’


বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বহুল আলোচিত সমালোচিতিএবারের নির্বাচনের বিজয়ী আন্তর্জাতিক সম্পাদক চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘টাকার বিনিময়ে আমাকে কেনার মতো লোক এখনো জন্মায়নি।’

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ছিলেন এবং ২০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তিনি। এর আগের নির্বাচনে মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন জয়। সম্প্রতি জয়ের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ এনেছেন শিল্পী সমিতির শপথপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।

রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) নিপুণ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘জায়েদ খান টাকা দিয়ে দুটি ইউটিউব চ্যানেল এবং দুটি ফেসবুক গ্রুপ পরিচালনা করছেন। এখানে প্রতিনিয়ত আমাকে নিয়ে বিভ্রান্তকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। আর জায়েদের পক্ষে এসব কাজ করছেন অভিনেতা জয় চৌধুরী।’

চিত্রনায়ক জয় চৌধুরীর উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘তুমি মাত্র সিনেমাতে এসেছ। তোমার উচিত এসব নোংরামি বাদ দিয়ে নিজের অভিনয়ের প্রতি মনোযোগ দেওয়া।’

চিত্রনায়িকা নিপুণের অভিযোগ প্রসঙ্গে নায়ক জয় চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘উনি (নিপুণ) যে অভিযোগ করেছেন, সেটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মনগড়া। কারণ, এসব কাজ যে কন্টাক্ট করে করা যায়, সে সম্পর্কে আমার ধারণা ছিল না। আমার যারা দর্শক আছেন কিংবা আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে যারা আছেন তারা আমার ব্যক্তিগত কোনো ছবিতে বাজে মন্তব্য করেন না। কিন্তু আমি যখন শিল্পী সমিতি নিয়ে পোস্ট করি, তখন সেখানে বেশ কিছু আইডি থেকে প্রচুর নেগেটিভ কমেন্টস করা হয়। এমনকি প্রত্যেকটি আইডি লক থাকে। এটা কারা করে তাহলে?’

তিনি আরও জানান, ‘এটা শুধু আমার সঙ্গে না, আমাদের প্যানেল থেকে যে ২১ জন দাঁড়িয়েছিলাম তাদের সবার ক্ষেত্রেই করা হয়েছে এবং সেই একই আইডিগুলো থেকে করা হয়েছে। আইডিগুলো আমাদের ফ্রেন্ডলিস্টেও নেই। উনি (নিপুণ) কীভাবে, কী বুঝে এই কথাগুলো বললো আমি জানিনা। উনার এই কথাগুলোর জন্য আমি চরম নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

কাজের ব্যস্ততার বিষয় উল্লেখ করে জয় বলেন, গত ৪ তারিখ থেকে আমার নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় নেই। আমার মাথায় শুধু কাজ, এসব ফালতু বিষয়ে ভাবার সময় নেই। আর টাকার বিনিময়ে এমন নোংরা কাজ করার প্রশ্নই আসে না। ভালোবাসার বিনিময়ে জীবন দিয়ে দিবো, তবুও এসব নোংরা কাজে জড়াবো না। টাকার বিনিময়ে আমাকে কেনার মতো লোক পৃথিবীতে এখনো জন্মায়নি।

আক্ষেপের সুরে জয় চৌধুরী বলেন, ‘আমি আদালতের বিচারাধীন সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে কথা বলতে চাই না। উনি (নিপুণ) নিজেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক ভাবছেন, আমি কিন্তু একজন নির্বাচিত আন্তর্জাতিক সম্পাদক। এটা উনার একটু ভাবতে হবে। আমাকে নিয়ে উনি এ ধরনের উক্তি না করে, সরাসরি আমাকে ডেকে বললেই পারত।

তিনি আরও বলেন, মানুষের সামনে হেয় না করে, তিনি আমাকেই বলতে পারতেন, জয় এ রকম ঘটনা ঘটছে। আমি যদি সে বিষয়ে জানতাম, তাহলে বলতাম আর না জানলে বলতাম আপু আমি এই বিষয়ে জানি না। আপনি বিষয়টা আরও খতিয়ে দেখেন। আমার মনে হয় এসব অন্য কেউ করছে।’

জয় চৌধুরী আরও যোগ করে বলেন, ‘আমার সঙ্গে কখনও কোনো যোগাযোগ করেনি। এসব বিষয়ে আমাকে কিছু বলেওনি। আমি তো ক্যাবিনেটেরই একজন সদস্য, আমাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করলেই পারত। অথবা সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ করতে পারত। সবকিছুর তো একটা সিস্টেম আছে। উনি (নিপুণ) যদি নিজেকে সাধারণ সম্পাদক মনে করে থাকেন, তাহলে উনি কীভাবে ক্যাবিনেটের নির্বাচিত একজনকে হেয় প্রতিপন্ন করছেন? এটা তো কোনো কথা হতে পারে না। আমাকে না ডেকে ভিডিওতে এসব কথা বলা উনার মতো সিনিয়র শিল্পীকে মানায় না।’

জয় চৌধুরীর ভাষ্য, ‘আমি আমার প্রয়োজন মতো একটা স্ক্রিপ্ট সাজালাম, ভিডিওতে প্রকাশ করলাম, আরেকজনকে হেয় প্রতিপন্ন করলাম- একজন সিনিয়রের কাছে কখনোই এমনটা আশা করা যায় না।’

শিল্পী সমিতির নতুন কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই সমিতির ভবিষ্যত দেখছি না। যেখানে সমিতির একজন নির্বাচিত ক্যাবিনেট সদস্যকেই অপমান করা হচ্ছে, সেখানে আমি আসলেই জানি না সমিতির ভবিষ্যত কী?’

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘এক জবান’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন জয় চৌধুরী। ২০১৪ সালে তার অভিনীত চলচ্চিত্র ভালবাসলে দোষ কি তাতে ও হিটম্যান ও ক্ষণিকের ভালোবাসা মুক্তি পায়। ২০১৫ সালে তার অভিনীত চলচ্চিত্র চিনিবিবি ও আজব প্রেম মুক্তি পায় এবং ২০১৭ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত চলচ্চিত্র অন্তর জ্বালা।

এইচএন