সুখী-সমৃদ্ধশালী ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে গঠন করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ব হতে হবে : মুজিবুর রহমান
Share on:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশকে সুখী-সমৃদ্ধশালী ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সহযোগী সদস্যদের জান ও মাল দিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) জামায়াতে ইসলামী রংপুর জেলা শাখার উদ্যোগে জেলা আমীর ও মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক গোলাম রাব্বানীর সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি মাওলানা এনামুল হকের সঞ্চালনায় সহযোগী সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আজ মজলুম। জনগণ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে না। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা, দুর্নীতি ও অর্থ পাচার রোধ এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের আন্দোলন চলমান আছে। তিনি এই চলমান আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে জালিম সরকারের পতন ত্বরান্বিত করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, সহযোগীগণ ইসলামী আন্দোলনকে বিজয়ী করার কাজে আর্থিক, শারীরিক ও মানসিক সহযোগিতা যত বেশি বৃদ্ধি করবেন, ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের কাজ ততো বেশি সহজ ও গতিশীল হবে, ইনশাআল্লাহ। কোরআনের বিধান প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত এদেশে প্রকৃত শান্তি আনয়ন সম্ভব নয়। এজন্য প্রত্যেক সহযোগীকে ঘরে ঘরে কোরআনের বিধান প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবর রহমান বলেন, সহযোগী সদস্যদের দায়িত্ব হচ্ছে দ্বীন বিজয়ের জন্য চেষ্টা করা এবং মানোন্নয়নের মাধ্যমে কর্মী ও রুকন হয়ে নিজেদেরকে দায়িত্ব পালনের উপযোগী করে গড়ে তোলা। দাওয়াতী ও সামাজিক কাজ বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে হবে। বেশি বেশি করে সালাম দেওয়ার অভ্যাস করতে হবে। সর্বোপরি তিনি মহান রবের সাহায্য কামনায় রাতের ইবাদতে মনোযোগী হওয়ার আহবান জানান।
বিশেষ অতিথি মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, সহযোগী সদস্যগণ মানোন্নয়ন ও আত্বগঠনের মাধ্যমে ময়দানে যথাযথ ভুমিকা পালন করবেন। সহযোগী সদস্যদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, জালিম সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে আমাদেরকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এজন্য আন্দোলনের যে কোনো কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রে ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে, ত্যাগ ও কোরবানির মানসিকতা নিয়ে সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। আল্লাহকে রব ও দ্বীনকে জীবন বিধান হিসেবে মেনে নিয়ে এবং মুহাম্মদ (সাঃ) কে রাসূল হিসেবে পেয়ে যখন আমরা খুশি থাকতে পারবো এবং সে অনুযায়ী সামগ্রিক জীবনে চলতে পারবো, তখনই আমরা ঈমানের পরিপূর্ণ স্বাদ পাবো।
বিশেষ অতিথি মাওলানা মমতাজ উদ্দিন এয়ানত প্রদান এবং এয়ানত বৃদ্ধিসহ আর্থিক কোরবানির গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং ত্যাগ-কোরবানির ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালনের উদাত্ত আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মোঃ আবদুল হালিম এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মোঃ মমতাজ উদ্দিন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি