ভাংচুর করেনি শিক্ষার্থীরা, অডিও রেকর্ড শুনিয়ে আন্দোলনকারীদের দাবি
Share on:
কোটা সংস্কার আন্দোলনে শাহবাগ অবরোধের সময় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা অনেক শিক্ষার্থীকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেনি বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা। এর পক্ষে তারা সাংবাদিকদের একটি অডিও রেকর্ড শোনান, যা রাজধানীর রমনা থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে তাদের কথোপকথনের বলে আন্দোলনকারীদের দাবি।
শনিবার (১৩ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন তারা।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেন, আপনারা দেখেছেন আমাদেরকে নানা জায়গায় বাধা দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্যকে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠন দুই ঘণ্টার বেশি আটকে রেখে নির্যাতন করেছে। আমরা গত ১ জুলাই থেকে পুলিশের সাথে সদ্ভাব বজায় রেখেছি। কোনো সমস্যা হয়নি।
এই আন্দোলনকারী বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, এতদিনে কোথাও কেউ ভাঙচুর করেনি। অজ্ঞাতনামা বলে তারা মামলা দিয়েছে। অথচ আমরা আপনাদেরকে একটি স্টেটমেন্ট শুনাতে চাই।
এই বলে তিনি তার ফোন থেকে একটি অডিও রেকর্ড চালু করে মাইকের সামনে ধরেন। সেই অডিওতে যার কথা শোনা যায় তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করেন আন্দোলনকারীরা। তাতে বলতে শোনা যায়, ‘কোনো ভাঙচুর হয়নি। কেউ কেউ ছবি তুলেছে গাড়ির উপর উঠে, তবে ভাঙচুর হয়নি কোনোভাবেই। এটি আপনাকে আমি এনশিউর করলাম।’
তবে অডিও রেকর্ডের ওই পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় প্রকাশ করেনি আন্দোলনকারীরা।
এই বিষয়ে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ঢাকা মেইলকে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজের সামনে অবস্থান করা একজন পুলিশ কর্মকর্তার কল রেকর্ড, যিনি রমনা থানায় কর্মরত আছেন। গতকালের তিনি এই বক্তব্য দেন, যা কল রেকর্ডে শোনা গেছে। আমি মনে করি এই কল রেকর্ডের মাধ্যমে প্রমাণ হয়ে গেল যে এই মামলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষার্থীদের দমনের একটি ‘টুল’ মাত্র।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১২ জুলাই) রাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের পরিবহন বিভাগের গাড়িচালক খলিলুর রহমান বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। এতে পুলিশের একটি সাজোয়া যান এবং জল কামান ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। অনির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থীকে করা হয় আসামি।
এনএইচ