tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১:৩৪ পিএম

সিপিবির জনসভায় ছাত্রলীগের হামলা, আহত ৩৫


আহত

নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলায় বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) জনসভায় স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে সিপিবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন।


শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কলমাকান্দা উপজেলা সদরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সারসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও বন্যাদুর্গতদের পুনর্বাসনের দাবিতে আয়োজিত সিপিবির জনসভায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

সিপিবির নেতাকর্মীরা জানান, দুপুর ২টার দিকে এই জনসভার আয়োজন করে কলমাকান্দা উপজেলা কমিটি। জনসভায় হঠাৎ লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ সদস্যরাও সিপিবির নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। তাদের হামলায় সিপিবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সদস্য ডা. দিবালোক সিংহ, জেলা কমিটির সভাপতি নলিনী কান্ত সরকার, সিপিবি নেতা মীর মামুন, শরিয়ত উল্লাহ, দ্বীন ইসলাম, হাবিব উল্লাহ পাঠান, শংকর সরকার, নজরুল ইসলাম, বিল্লাহ হোসেন, রহম আলী, জয় কুমার দে, কামরুল ইসলাম, আল আমিন খান, রমজান আলি সরকার, জোবায়ের হোসেন, শাহজাহান, গোলাম মোস্তফা হিরা, আবুল হোসেন, আজিজুর রহমান সায়েম, তানবির, তন্ময় দেবনাথ, আনোয়ার, হৃদয় শেখ, পিন্জয় সরকার খোরশেদ আলম, তাহমিনা আক্তার স্মিতা, দিপক সরকার, মো. ইব্রাহিম, নুরুল হক, সোহাগ আলমসহ অনন্ত ৩৫ জন আহত হন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে এবং স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সিপিবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ জনসভা করছিলাম। সভা চলাকালে এ সরকারের লাঠিয়াল বাহিনী ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নামধারী কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা করে। শুধু তাই নয় সরকারের আজ্ঞাবাহী পুলিশ সদস্যরাও আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে।

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে কলমাকান্দা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সোহেল রানা বলেন, আমরা তাদের জনসভাস্থলে গিয়ে সরকারবিরোধী বক্তব্য দিতে নিষেধ করেছি। কোনো হামলা করিনি। বরং তারা আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

কলমাকান্দা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আহাদ খান বলেন, উপজেলা পরিষদ চত্বর এলাকায় সিপিবির ওই সভার কোনো অনুমতি ছিল না। তাই ওই সভায় আইন-শৃঙ্খলা অবনতি হতে পারে- এমন আশঙ্কা থেকে আমরা সভাটি বন্ধ করে দিতে যাই। কিন্তু ততক্ষণে সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়ে গেলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সিপিবির কোনো নেতাকে পুলিশ লাঠিচার্জ করেনি বলেও দাবি করেন ওসি।

এমআই