বিদেশি শিক্ষার্থীদের অনুমোদন স্থগিত করছে কানাডার যে প্রদেশ
Share on:
আগামী দুই বছরের জন্য স্নাতক কোর্সে ভর্তি হতে ইচ্ছুক বিদেশি শিক্ষার্থীদের অনুমোদন দেওয়া স্থগিত করতে যাচ্ছে কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সরকার।
সোমবার প্রাদেশিক সরকার থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
বিবৃতিতে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার প্রাদেশিক সরকার জানিয়েছে, আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্নাতক কোর্সে ভর্তি হতে ইচ্ছুক কোনো বিদেশি শিক্ষার্থীকে প্রদেশের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি এবং প্রদেশে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হবে না। আরও জানানো হয়েছে, এই সময়সীমার মধ্যে যেসব ব্যক্তি শ্রমিক হিসেবে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় প্রবেশ করবেন, তাদেরকেও ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রিধারী এবং সরকারের নির্ধারিত মান অনুযায়ী ইংরেজি ভাষায় প্রশিক্ষিত হতে হবে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সামর্থ্যবান শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষাগ্রহণ ও বসবাসের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় দেশগুলোর মধ্যে কানাডা অন্যতম। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি বছর লাখ লাখ শিক্ষার্থী কানাডায় যান।
কানাডার অর্থনীতির জন্যও এটি বেশ লাভজনক। প্রতিবছর বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগমন সংক্রান্ত বিভিন্ন খাত থেকে গড়ে ১ হাজার ৬৪০ কোটি ডলার যোগ হয় দেশটির অর্থনীতি।
ফলে কানাডা সবসময় বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানায়। সেই সঙ্গে যেসব শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষে কানাডায় স্থায়ী হতে চান, তাদের প্রতিও উদারতা প্রদর্শন করে দেশটি।
এছাড়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ কানাডার আয়তন ৯৯ লাখ ৮৪ হাজার ৬৭০ বর্গকিলোমিটার, জনসংখ্যা মাত্র ৪ কোটি ৫ লাখ ২৮ হাজার ৩৯৬ জন। ফলে অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে বিদেশি শ্রমিকদেরও স্বাগত জানায় কানাডা।
কিন্তু গত কয়েক বছরে বিপুল সংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থী এবং অভিবাসী কানাডায় গমন করায় দেশটির বিভিন্ন শহরে আবাসন সংকট শুরু হয়েছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আবাসন ব্যয়। কানাডার সরকারি পরিসংখ্যান দপ্তর স্ট্যাটিসটিক্স কানাডার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে কানাডা গড়ে আবাসন ব্যয় বেড়েছে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
মূলত এই কারণেই বিদেশি শিক্ষার্থী ও অভিবাসীদের আগমনে বিধিনিষেধ জারি করছে কানাডা। কিছুদিন আগে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, বিদেশি শিক্ষার্থীদের অনুমোদন ৩৪ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।
এমএইচ