tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১:১৮ পিএম

হ্যারিস ও ট্রাম্প ‘একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ’


trump-harris_20241105_210111758

কিছু দেশে যুদ্ধ এবং শান্তির মধ্যে পার্থক্য হিসেবে দেখা হয় ভোটকে। তাই চলমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে পুরো বিশ্ব।


বিশেষ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোর জন্য বিশ্বের অন্যতম পরাক্রমশালী এই দেশের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন অনেকে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কে হবেন? ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি কমলা হ্যারিস— এই নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে অনেকেই মনে করছেন, কমলা হ্যারিস নির্বাচিত হলে যুদ্ধের একটি সমাধান মিলবে। কিন্তু এক্ষেত্রে তেমনটি মনে করেছে না ইসরায়েলের আগ্রাসনের শিকার লেবাননবাসী।

কমলা হ্যারিস ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের এই যুদ্ধ প্রসঙ্গে এই অঞ্চলের অনেকেই মনে করেন যে, যদিও উভয় প্রার্থী তাদের অনেক নীতিতে ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু এই অঞ্চলের ক্ষেত্রে তারা অন্য যেকোনো জায়গার চেয়ে নীতিতে প্রায় কাছাকাছি।

মধ্যপ্রাচ্যবাসীরা বিশ্বাস করেন যে, উভয় প্রার্থীর একই বক্তৃতা রয়েছে, যা আমরা শুনেছি। ইসরায়েলের প্রতি তাদের নিঃশর্ত সমর্থন রয়েছে এবং তারা নির্বাচিত হওয়ার পর তা অব্যাহত থাকবে।

মধ্যপ্রাচ্যে খুব বেশি আশা নেই যে পরিস্থিতিগুলোর আমূল পরিবর্তন হবে। হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে বাইডেন প্রশাসনের যুদ্ধবিরতির চেষ্টাকে ব্যর্থ প্রচেষ্টা জানিয়ে লেবাননবাসী জানান, এখনও পর্যন্ত কোনো চেষ্টাই সফল হয়নি।

সরকারি বিভিন্ন জায়গা থেকে মার্কিন সরকারের অবস্থান সম্পর্কে যা আমরা শুনেছি তা হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে এবং যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জন্য ইসরায়েলকে চাপ দেওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেনি এবং এটাই তাদের বর্তমান অবস্থান।

লেবানিজ নাগরিকরা বলছে, ‘এই দুই প্রার্থী মূলত একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।

হোয়াইট হাউসে যাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা হোক না কেন, মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক কোনো পরিবর্তন হবে না। একটি পরিষ্কার বোঝাপড়া রয়েছে যে, মার্কিন নীতি ইসরায়েলের পাশে থাকবে এবং তারা যা আশা করছে সেভাবেই চলতে থাকবে।

সূত্র: আল-জাজিরা

এনএইচ