tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:৫৫ পিএম

রাষ্ট্র পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন ড. ইউনূস


usa-20240915164429

বাংলাদেশের পুনর্গঠন, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার এবং পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।


তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার স্বৈরশাসনের সঙ্গে জড়িত দুর্নীতিবাজদের সম্পদ (যা বিদেশে পাচার করা হয়েছে) দেশে ফেরত আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল সাক্ষাতে এলে ড. ইউনূস এ সহায়তা চান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।

ঘুস-দুর্নীতি প্রতিরোধে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা দুর্নীতির সাগরে ছিলাম।’

অন্তর্বর্তী সরকারের চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, ‘বর্তমান প্রশাসন অর্থনীতিকে সংস্কার এবং পুনরায় সচল করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। আর্থিক খাতে সংস্কার এবং বিচার বিভাগ ও পুলিশের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক করার উদ্যোগ নিয়েছে।’

ছাত্র-জনতার বিপ্লবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং আমাদের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।’

usa2-20240915164418

বিভিন্ন ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগের কথা তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, ‘সরকার দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই ভোট জালিয়াতি প্রতিরোধ, বিচার বিভাগ, পুলিশ, বেসামরিক প্রশাসন, দেশের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা এবং সংবিধান সংশোধনের জন্য ৬টি কমিশন গঠন করা হয়েছে।’

এসময় মার্কিন প্রতিনিধিদলের প্রধান যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব দপ্তরের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, ‘এই সংস্কার এজেন্ডায় সহায়তা করতে পারলে ওয়াশিংটন ডিসি খুশি হবে।’

সাক্ষাৎকালে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল জানায়, তাদের দেশ অন্তর্বর্তী সরকার নেওয়া সংস্কার উদ্যোগে প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা দিতে আগ্রহী।

ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও অর্থনৈতিক সংস্কার, বিনিয়োগ, শ্রমিক ইস্যু, রোহিঙ্গা সংকট এবং জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন নিউইয়র্ক সফর নিয়ে আলোচনা হয়।

এসএম