সড়কপথে পাবনায় যাচ্ছে ইউরেনিয়াম, যানবাহন চলাচলে কড়াকড়ি
Share on:
দেশের সবচেয়ে আলোচিত ও বৃহৎ প্রকল্প পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান ইতোমধ্যেই ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। সড়কপথে যেটি নেওয়া হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে। এজন্য নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার জানান, শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা থেকে সড়কপথে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি ইউরেনিয়াম পাবনায় আসবে। যেহেতু পাবনা-ঢাকা রুটে অনেক সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। এজন্য যানজট নিয়ন্ত্রণে ও নিরাপত্তার স্বার্থে শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
তবে আরিচা-কাজিরহাট হয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় যানবাহন চলাচল করতে পারবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকাগামী পাবনার বাস কাউন্টারগুলো ঘুরে দেখা যায়- কাউন্টারগুলোয় টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে। পরে বিষয়টি নিয়ে কথা হলে দায়িত্বরত কর্মচারীরা জানান, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউরেনিয়াম আসবে, এজন্য বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাশিয়া থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান। শুক্রবার রূপপুরে সেটি পৌঁছালেও আগামী ৫ অক্টোবর প্রকল্প কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ইউরেনিয়াম হস্তান্তর করবেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশনের মহাপরিচালক রোসাটম আলেক্সি লিখাচেভ।
উল্লেখ্য, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের সবচেয়ে আলোচিত ও বৃহৎ প্রকল্প। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে সরকারের ব্যয় ২২ হাজার ৫২ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। আর রাশিয়া থেকে ঋণ সহায়তা হিসেবে আসছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন- ২০২৪ সালের প্রথম দিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। আর ২০২৫ সালের মাঝামাঝি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিট চালু হতে পারে। দুটি ইউনিট চালু হলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
এনএইচ