আ.লীগ সরকারের দুর্নীতি ও বেগমপাড়া
Share on:
আওয়ামী লীগের সরকার তাদের ইশতেহারে ও নেতাদের বক্তব্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থানের কথা ঘোষণা করে আসলেও গত তিন মেয়াদে এই দলের ছোট থেকে কেন্দ্রের বেশিরভাগ নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থে কানাডায় বেগমপাড়া তৈরি হওয়ার মতো খবর এসেছে গণমাধ্যমে। খবর বিবিসি বাংলার।
গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেগরিটি (জিএফআই) হিসাবে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে ৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। সেই হিসাবে ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় ১০ লাখ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থে কানাডায় বেগমপাড়া তৈরি হওয়ার মতো খবর এসেছে। অনেক নেতা-মন্ত্রী-এমপি, সরকার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী দেশ থেকে অর্থ পাচার করে বিভিন্ন দেশে সেকেন্ড হোম তৈরি করেছেন, বিনিয়োগ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের মতো অনেক সরকারি সাবেক কর্মকর্তার হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ তৈরির খবর প্রকাশ হয়েছে গণমাধ্যমে। সরকারি অফিসে ঘুষ দেয়া যেন একটা স্বাভাবিক সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-মন্ত্রীর বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ, বিনিয়োগ স্কিমে অন্য দেশের নাগরিকত্ব নেয়ার মতো অভিযোগ উঠেছে।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এতো দুর্নীতি হয়েছে, যা আগে কখনো মানুষ দেখেনি। দুর্নীতি নিয়ে মানুষের ভয়, চক্ষুলজ্জাও উঠে গিয়েছিল। এসবের মধ্য দিয়ে তারা যে বিত্ত অর্জন করেছে, তা পাচার করে দিয়েছে। যেখানে মানুষ কষ্টে জীবনযাপন করছে, সেখানে নেতা-মন্ত্রীদের বিদেশে অঢেল সম্পদের তথ্য মানুষকে বিরক্ত আর ক্ষুব্ধ করেছে।
বেতনের তুলনায় দুর্নীতির সুযোগ থাকার জন্য সরকারি চাকরি এত লোভনীয় হয়ে উঠেছে যে চতুর্থ শ্রেণির চাকরির পেছনেও লাখ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়া-নেওয়া অভিযোগ উঠেছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মানুষ ভালো চাকরি পেতে চেয়েছে, যাতে তারা অর্থনৈতিকভাবে যাতে নিরাপদ থাকতে পারে। আগে প্রাইভেট সেক্টরে অনেক ভোলো চাকরি ছিল, সেই সুযোগ সংকুচিত হয়ে গেছে। ফলে তারা সবাই সরকারি চাকরি পেতে চাইছিল।
কিন্তু সেই চাকরির প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রেও তারা নানা অনিয়মের মুখোমুখি হয়েছে।
এমএইচ