tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
খেলা প্রকাশনার সময়: ০৪ ডিসেম্বর ২০২২, ২১:৪২ পিএম

বিএনপি এখন নতুন ভেন্যু খুঁজছে: ডিএমপি


দ

নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ১০ ডিসেম্বরের ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের অনুমতি না পেয়ে বিএনপি এখন সমাবেশের জন্য নতুন ভেন্যু খুঁজছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তবে পুলিশের আশা, শেষ পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই বিএনপি তাদের গণসমাবেশ করবে।


রোববার (৪ ডিসেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন এ কথা জানান।

এর আগে দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া ঢাকার ভেতরে সমাবেশের জন্য বিকল্প ভেন্যুর প্রস্তাব পেলে তা বিবেচনা করা হবে।

তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ বানচাল করতে সরকারের নানামুখী দমননীতি এখন সর্বসাধারণের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। গতকাল (শনিবার) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসার সামনে সেই বালির ট্রাকের কায়দায় চেকপোস্ট-ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ অবরোধ করে রেখেছে। এটি দেশনেত্রীর ওপর নিপীড়নের আরেকটি নতুন মাত্রা। আমি সরকারের এই ঘৃণ্য আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ডিসি ফারুক হোসেন বলেন, বিএনপি এখন নতুন ভেন্যু খুঁজছে। নতুন ভেন্যুর জন্য তারা প্রস্তাবও দিয়েছে। তবে তারা এখনো নয়াপল্টনে গণসমাবেশের অনুমতি চায়।

তিনি বলেন, ডিএমপির পক্ষ থেকে বিএনপিকে নতুন ভেন্যুর প্রস্তাব দেয়নি। আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দিয়েছি। তারাই নতুন ভেন্যুর কথা বলছে। তবে আমরা আশা করি, বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই তাদের সমাবেশটি করবে।

ফারুক হোসেন আরও বলেন, আজ বিকেলে ছয় সদস্যের বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে প্রতিনিধি দলটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে নয়াপল্টনে তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার বিষয়ে আলোচনা করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির প্রতিনিধি দলকে ডিএমপি জানায়, ডিএমপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দিয়েছে। এর পাশাপাশি দলটি যদি অন্য কোনো স্থানের সন্ধান পায়, আর এ বিষয়ে প্রস্তাব দিলে বিবেচনা করা হতে পারে। এ বিষয়ে ডিএমপি বিবেচনা করবে সোহরাওয়ার্দী থেকে আরও নিরাপদ কোনো ভেন্যু আছে কি না।

তিনি বলেন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আজ রাতে বেশ কয়েকটি ভেন্যু পরিদর্শন করবেন। তারা রাতে রাজধানীর আরামবাগ, পল্টন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা পরিদর্শন করবেন।

তিনি আরও বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কারণ, আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে উদ্যানটি নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। আমরা বিএনপিকে অনুরোধ করেছি, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করার জন্য। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে যত ধরনের নিরাপত্তা সহযোগিতা করার দরকার সব পদক্ষেপ আমরা নেবো।

এর আগে ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয় থেকে বের হয়ে বিএনপির প্রতিনিধিদলটি সাংবাদিকদের জানায়, আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ তাদের নেতাকর্মীদের পুরোনো মামলাগুলোতেকে নতুন করে সামনে এনে গ্রেফতার-হয়রানি করছে। এই গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধে তারা ডিএমপি কমিশনারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির মুখপাত্র বলেন, পুলিশ সদরদপ্তরের নির্দেশে আমাদের যে বিশেষ অভিযানটি চলছে সেটি আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম। প্রতি মাসে আমরা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের বিশেষ অভিযান ঘোষণা করে থাকি। আসন্ন ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কোনো ধরনের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির যেন না ঘটে সে বিষয়টিকে সামনে রেখে পুলিশ সদরদপ্তর ১৫ দিনের একটি বিশেষ অভিযান ঘোষণা করেছে। এ নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি ঢাকা মহানগর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে।

তিনি বলেন, আমাদের বিশেষ অভিযানের লক্ষ্য ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করা। মাদক ব্যবসায়ী ও জঙ্গিদের গ্রেফতার করা। এখানে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে না। যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে এবং ওয়ারেন্ট আছে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ হলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে কোন্দল বা সংঘর্ষের কোনো আশঙ্কা আছে কি না- এমন প্রশ্নে উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, আমরা যখন অনুমতি দিই তখন অনেক ধরনের হুমকি বিশ্লেষণ করি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।

এমআই