রাশিয়ার দাবি মেনে ন্যাটোতে যোগ দেবে না ইউক্রেন
Share on:
ইউক্রেন ও রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ থামাতে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুই দেশের প্রতিনিধিরা ইস্তানবুলে বৈঠকে বসেন। এ বৈঠকে বেশ কয়েকটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশই। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা রাজধানী কিয়েভ ও চেরনোহিভের দিকে আক্রমণ প্রায় বন্ধই করে দেবে। অন্যদিকে ইউক্রেন ওই বৈঠকের পর ঘোষণা দিয়েছে, রাশিয়ার দাবি অনুযায়ী ন্যাটো বা কোনো সামরিক জোটে যোগ দেবে না ইউক্রেন। তারা নিরপেক্ষ দেশ থাকবে। তবে এর বদলে তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
ই্উক্রেন নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বলতে বুঝিয়েছে, বাইরের কোনো দেশ যদি তাদের আক্রমণ করে তখন তাদের সহায়তা করতে হবে। আর ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়া দেশের তালিকায় থাকতে পারে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, তুরস্কের মতো দেশগুলো।
অন্যদিকে নিরপেক্ষ থাকা মানে হলো ইউক্রেন কোনো জোটে যোগ দিতে পারবে না। কোনো বিদেশী দেশের সৈন্যদের ঘাঁটি স্থাপন করতে দিতে পারবে না।
তাছাড়া ক্রিমিয়া নিয়েও রাশিয়ার কাছে প্রস্তাব দিয়েছে ইউক্রেন। তারা বলেছে আগামী ১৫ বছরের মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে ক্রিমিয়া নিয়ে আলোচনা করতে চায় তারা এবং সমস্যাটির সমাধান চায়।
এদিকে ইউক্রেনের অবরুদ্ধ মারিউপোল শহরে রাশিয়ার হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে পাঁচ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলীয় ওই শহরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে রাশিয়া ক্রমাগত গোলাবর্ষণ করতে থাকায় এসব মরদেহ সরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
এর আগে রুশ সাংবাদিকদেরকে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় রাশিয়া ভয় গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সিএনএননের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
সম্প্রতি রুশ সাংবাদিকদেরকে এক সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেটি রাশিয়ায় ইতোমধ্যে প্রচারও হয়েছে। তবে সেই সাক্ষাৎকার পুনঃপ্রচারে সেন্সরশিপ তথা নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা করছে- এমন অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় রোববার (২৭ মার্চ) নিজের সর্বশেষ ভিডিও বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন জেলেনস্কি।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এইচএন