tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ২২:০১ পিএম

ফের বিদ্যুৎ রফতানির পথে ইউক্রেন


UKRAIN

বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে টানা কয়েক মাস ধরে রাশিয়ার হামলার পর সেই ক্ষতি কাটিয়ে ফের বিদ্যুৎ রফতানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন।


শনিবার (৮ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোগুলোতে দীর্ঘ এবং ইচ্ছাকৃত আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া।

ঐ সময় রাশিয়া টানা কয়েক মাস ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে। মূলত, ক্রিমিয়া উপ-দ্বীপের সাথে রাশিয়াকে সংযুক্তকারী ইউরোপের বৃহত্তম রেল ও সড়ক সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে গত ৮ অক্টোবর থেকে ইউক্রেনের জ্বালানি নেটওয়ার্ক ও অবকাঠামোগুলোতে আক্রমণ করে রাশিয়া।

এর মধ্যে অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের বৃহত্তম বন্দর নগরী সেভাস্তোপলের কাছে কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরে ড্রোন হামলা ঘটে। এরপর কয়েক দফায় ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনা লক্ষ্য করে রাশিয়া কার্যত ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টি চালায়।

রাশিয়ার এই হামলায় ইউক্রেন জুড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা ও ব্ল্যাক আউটের সৃষ্টি হয়। এতে শীতকালে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির বহু শহর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। ফলে ইউক্রেন বিদ্যুৎ রফতানি বন্ধ করতে বাধ্য হয়।

কিন্তু ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা ইউক্রেন এখন আবারও তার অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে।

বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রী হারমান হালুশচেঙ্কো বিদ্যুৎ রফতানি অনুমোদনের একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। তবে ঐ আদেশে স্থানীয় গ্রাহকদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে।

ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রী বলেন, ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা প্রায় ২ মাস ধরে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। ইউক্রেনীয়রাও এখন আর বিদ্যুৎ ব্যবহারে কোনও বিধি-নিষেধের মুখোমুখি হচ্ছে না।

হালুশচেঙ্কো বলেন, সবচেয়ে কঠিন শীত কেটে গেছে। পরবর্তী ধাপ হলো- বিদ্যুৎ রফতানি শুরু করা। আর এটি আমাদের বিধ্বস্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত জ্বালানি অবকাঠামোর প্রয়োজনীয় পুনর্গঠনের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক সংস্থান করতে সহায়তা করবে।

তিনি সিস্টেম পুনরুদ্ধার করার জন্য ইঞ্জিনিয়ারসহ আন্তর্জাতিক অংশীদারদের কাজের প্রশংসা করেন।

এর আগে মার্চ মাসে ইউক্রেনের বাসিন্দারা বিবিসিকে জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ এখন আরও নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠছে।

সে সময় ইননা শতানকো নামে ডিনিপ্রোর একজন তরুণী মা বলেন, শহরের চেহারা পরিবর্তিত হয়েছে। অবশেষে রাস্তার লাইগুলো জ্বলতে শুরু করেছে। শহরের রাস্তায় হাঁটা এখন আর ভীতিকর কোনও কাজ নয়।

এদিকে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের অপারেটর ইউক্রেনারগো সতর্ক করেছে, ইউক্রেন রাশিয়ার আক্রমণ বন্ধ করার ওপর নির্ভর করতে পারে না।

সংস্থাটি জানায়, যুদ্ধের সময় রাশিয়া এখন পর্যন্ত তার বিদ্যুৎ অবকাঠামোগুলোতে ১২০০ টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। এই ধরনের হামলাকে একটি ইউরোপীয় দেশের জ্বালানি ব্যবস্থা ধ্বংস করার সবচেয়ে বড় প্রচেষ্টা।

অবশ্য ইউরোপের সবচেয়ে বড় পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র জাপোরিঝিয়ার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে কিয়েভ। ২০২২ সালের সামরিক অভিযান শুরুর কয়েক মাস পরই রাশিয়া এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দখলে নেয়। সেটি এখনও রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এন