আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বলিয়ান : তথ্যমন্ত্রী
Share on:
আওয়ামী লীগ কোনো বিদেশি শক্তির শক্তিতে বলিয়ান নয়। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বলিয়ান। সব বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক। ভারতবর্র্ষ আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, এ দেশে গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক শক্তির নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। সুতরাং গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক বিশ্ব অগণতান্ত্রিকভাবে বন্দুকের নল থেকে যারা বের হয়েছে এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে তাদের সঙ্গে থাকতে পারে না।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড: পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ এ আলোচনাসভার আয়োজন করে। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক এম এ সালামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পালিতের সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় বিশেষ অথিতির বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমান, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোহাম্মদ মঈনুদ্দীন, আবুল কালাম আজাদ, এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, মহিউদ্দিন আহমেদ রাশেদ, স্বজন কুমার তালুকদার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন শাহজাহান সিকদার, নজরুল ইসলাম তালুকদার, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, প্রদীপ চক্রবর্তী, আকতার হোসেন খাঁন, নাজিম উদ্দিন মুহুরি প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কারবালার প্রান্তরের মর্মন্তুদ কাহিনীর কথা জানি। কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসাইনকে জবাই করা হয়েছিল। কিন্তু কারবালার প্রান্তরে নারী ও শিশুদের হত্যা করা হয়নি, তাদের সবাইকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। অথচ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নারী এবং শিশুদের হত্যা করা হয়েছে। ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল, চার বছরের সুকান্ত বাবু, ১১ বছরের বেবি সেরনিয়াবাতকে হত্যা করা হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা বেগম আরজু মনিকে হত্যা করা হয়েছে। সেদিন প্রকৃতপক্ষে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল।
জিয়াউর রহমান একজন খুনি, বিশ্বাস ঘাতক এবং একজন সিরিয়াল কিলার হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থাকবে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কারণ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের খবর সকালবেলা যখন তার কাছে পৌঁছানো হয় তখন তিনি বলেন, ‘সো হোয়াট ভাইস প্রেসিডেন্ট ইজ দেয়ার।’ একজন সেনাপতি নিজের জীবনকে বিপন্ন করে হলেও রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রপতিকে রক্ষা করার শপথগ্রহণ করেন। তার তখন দায়িত্ব ছিল ছুটে গিয়ে রাষ্ট্রপতিকে রক্ষা করা, তিনি সেটি করেননি।
‘আওয়ামী লীগকে বিদেশি শক্তি টিকিয়ে রেখেছে’ বিএনপির নেতা রুহুল কবীর রিজভী আহমেদের এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শক্তি জনগণ, জনগণের শক্তিতেই আমরা বলিয়ান। তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর নয়াপল্টন আর প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি যেভাবে লাফালাফি শুরু করলো। বর্ষাকালে যখন প্রথম বৃষ্টিতে পুকুরে পুঁটি ও মলা মাছ লাফায়, চারিদিকে অথৈ পানিতে তখন ব্যাঙ খুব ডাকে, নানা ধরনের ডাক দেয়। এখন বিএনপির হাঁকডাক হচ্ছে ঠিক সেইরকম।’
তিনি বলেন, ‘সরকারকে নাকি ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেবে তারা। আওয়ামী লীগের ভীত অনেক গভীরে প্রোথিত। শক্ত দেয়ালের মধ্যে কেউ ধাক্কা দিলে সে নিজেই পেছনে পড়ে যাই। বিএনপির অবস্থাও হচ্ছে তাই। বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় সারাদেশের পাঁচশো জায়গায় বোমা ফোটানোর প্রতিবাদে ১৭ আগস্ট সমগ্র দেশব্যাপী আমরা বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছিলাম। ১৭ তারিখে আমাদের বিক্ষোভ ছিল মাত্র ট্রায়াল। কিন্তু এ ট্রায়াল দেখেই বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের সংবাদ সম্মেলন দেখে মনে হলো ভয় পেয়ে গেছে তারা। আমরা মাত্র রিহার্সেল দিয়েছি, ফাইনালি নামবো আগামী মাসে, তখন তারা পালানোর পথ খোঁজে পাবে না।’
এইচএন