সিডনির বিষাদ ভুলে প্রোটিয়া বধে কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ?
Share on:
আফ্রিকার পরাশক্তি হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এবারও ছোট ফরম্যাটের বিশ্বকাপে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ২০২২ সালে সিডনির সেই দুঃস্বপ্ন ভুলে কি টাইগাররা পারবে প্রোটিয়া বধ করতে?
আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একাধিকবার দেখা হয়েছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০০৭ বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই আফ্রিকান দেশটির সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা হয় বাংলাদেশের। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত প্রথম আসরে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারায় প্রোটিয়ারা।
আফতাব আহমেদের ৩৬ রান ও অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ১৯ রানের ক্যামিওতে ১৪৪ রানের লক্ষ্য দেয় টাইগাররা। গ্রায়েম স্মিথর ৪১ রান ও পল ডুমিনির ৩৬ রানে ৭ উইকেটের জয় পায় প্রোটিয়ারা।
আরব আমিরাতে বসা ২০২১ আসরের বিশ্বকাপের মঞ্চেও ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। অ্যানরিচ নর্টজে ও কাগিসো রাবাদার বোলিং তোপে ৮৪ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। ব্যাট হাতে শেখ মেহেদী ২৭ ও লিটন দাস করেন ২৪ রান। বাংলাদেশের দেওয়া স্বল্প রানের লক্ষ্যে ৬ উইকেটের জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এরপর ২০২২ সালে সিডনিতে বাংলাদেশকে রান বন্যায় ভাসিয়ে ১০৪ রানের জয় পায় প্রোটিয়ারা। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড স্টেডিয়ামে কুইন্টন ডি কক ও রাইলি রুশোর ঝড়ো ইনিংসে বাংলাদেশের সামনে ২০৬ রানের লক্ষ্যে ছুড়ে দেয় প্রোটিয়ারা। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লিটন ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন, আর কেউ দুই অংকের রান করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত তিক্ত স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় টাইগারদের।
পূর্বের অতীত ইতিহাস বাদ দিলে টাইগার বর্তমান স্কোয়াড অনেকটা ভিন্নরূপে তারুণ্য নির্ভর। আশা জাগানিয়া হলেও সাম্প্রতিক ফর্ম বিপরীত কথা বলছে। কুইন্টন ডি কক-এইডেন মার্করামদের বিপক্ষে সাকিব আল হাসানের দল পারবে কি নিজেদের সেরাটা দিয়ে প্রথমবারের মতো প্রোটিয়াদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে হারাতে?
এনএইচ