সময় বাড়ছে না বাণিজ্যমেলার
Share on:
চলতি বছরের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার সময় আর বাড়ছে না। নির্ধারিত সময় ২০ ফেব্রুয়ারিই (মঙ্গলবার) শেষ হচ্ছে মেলার কার্যক্রম।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ও মেলার পরিচালক বিবেক সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, নির্ধারিত সময় ২০ ফেব্রুয়ারিই শেষ হচ্ছে মেলা। শেষদিনে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন ক্রান্তি ঘোষ।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণিজ্যমেলা উদ্বোধন করেন। দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এ মেলা হতো শেরেবাংলা নগরে। কোভিড মহামারির কারণে ২০২১ সালে মেলার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।এরপর মহামারির বিধিনিষেধের মধ্যে ২০২২ সালে প্রথমবার মেলার আয়োজন করা হয় পূর্বাচলে বিবিসিএফইসিতে। এবার তৃতীয়বারের মতো স্থায়ী ভেন্যু বাংলাদেশ-চীন এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে মেলার পরিচালক বিবেক সরকার বলেন, ব্যবসায়ীরা মেলার সময় বাড়ানোর দাবি জানালেও মেলার সময় বাড়ানোর সুযোগ নেই। ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১০ টা পর্যন্ত মেলা চলবে। এর আগে বিকেল ৪ টায় মেলা প্রাঙ্গনের দ্বিতীয়তলায় এক সমাপনী অনুষ্ঠান করা হবে। এবছর প্রায় দেড় লাখেরও বেশি।মানুষের সমাগম ঘটেছে। বেচাবিক্রি কেমন হয়েছে তা এখন বলা সম্ভব না। আগামীকাল সমাপনী অনুষ্ঠানে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া যাবে।
এবারের বাণিজ্যমেলায় দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইরান, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশ অংশ নেয়। মেলায় এসব দেশের বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, ফার্নিচার,
পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসামগ্রী, চামড়া/আর্টিফিসিয়াল চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারি ওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি পণ্য মেলায় প্রদর্শিত হয়। পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশীয় পণ্য রপ্তানির বড় বাজার খোঁজার লক্ষ্য রয়েছে।
এসএম