পরিবার-বন্ধু ও সমর্থকরা না থাকলে এই শিরোপার কোন মানে হতো না : মেসি
Share on:
সদ্য বিদায়ী বছরের ১৮ ডিসেম্বর, লিওনেল মেসি কাতারের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে স্বপ্ন সত্যিকরে বিশ্বকাপ ট্রফিটা হাতে তুলে নিয়েছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন একটি পোস্ট করে মেসি জানান, একটি বছর শেষ হল যা আমি কখনো ভুলব না। যে স্বপ্ন আমি সবসময় তাড়া করেছিলাম অবশেষে তা সত্যি হল।
মেসি লিখেছেন পরিবার, বন্ধুরা না থাকলে এই শিরোপার কোন মানে হতো না, তবে এই শিরোপার কোন মানে হতো না যদি না এই শিরোপা জয়ের উৎসব আমার অসাধারণ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে না পারতাম। বারবার ব্যর্থ হওয়ার পরও যদি আমার বন্ধুরা আমাকে সমর্থন দিয়ে না যেতেন। এছাড়া সবসময় চাইতাম, যারা আমাকে অনুসরণ করেন তাদের জন্য বিশেষ মুহূর্ত উপহার দিতে।
তিনি আরও লিখেছেন, যদি আমার দেশের লোকজন, প্যারিস, বার্সেলোনা কিংবা আরও অন্যান্য দেশের ভক্তরা সমর্থন দিয়ে না যেতেন তাহলে যেখানে আমি এসেছি, যা অর্জন করেছি তা অসম্ভব ছিল। আশা করছি, সবার জন্য ভালো একটি বছর কাটবে। নতুন বছরে আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। সবাইকে আমার একটি বিশাল আলিঙ্গন।
প্রসঙ্গত, কাতার বিশ্বকাপে জয়ের মাধ্যমে দীর্ঘ ৩৬ বছর পর ট্রফির স্বাদ গ্রহণ করে আর্জেন্টিনা। ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপের মুকুট পরেছিল মেসিরা।
বিশ্বকাপে অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স করে গোল্ডেন বল জিতেছিলেন লিওনেল মেসি। বিশ্বের প্রথম ফুটবলার হিসেবে দুটো গোল্ডেন বল জয়ের কীর্তি গড়লেন মেসি। এর আগে ২০১৪ বিশ্বকাপেও গোল্ডেন বল জিতেছেন তিনি।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনার ইতিহাসে ৩য়বার কোনো খেলোয়াড় গোল্ডেন বল জিতেছেন। ১৯৮২ সালে এই পুরস্কার চালু হওয়ার পর ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ের নায়ক ডিয়েগো ম্যারাডোনা জিতেছিলেন এই পুরস্কার।
অপরদিকে আর্জেন্টিনার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার 'গোল্ডেন গ্লাভস' জিতেছিলেন। ফাইনালে পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত কিছু সেভসহ টাইব্রেকারে কোম্যানের শট ফিরিয়ে দেন তিনি।
এন