ইয়েমেনে আবারও যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের হামলা
Share on:
ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাজ্যের প্রশাসন।
তবে সোমবার (২২ জানুয়ারি) চালানো এ হামলায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনও স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা সচিব জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যায় ইয়েমেনে হুতি অধ্যুষিত অঞ্চলে একের পর এক আক্রমণ চালানো হয়েছে। পেন্টাগন জানিয়েছে, হুতিদের একটি সুড়ঙ্গে আক্রমণ চালানো হয়েছে। যেখানে তারা অস্ত্র মজুত করে রেখেছিল। এ ছাড়াও তাদের মজুত করা ক্ষেপণাস্ত্র ও সামরিক অবকাঠামোয় আক্রমণ চালানো হয়েছে।
বিবৃতিতে পেন্টাগন বলেছে, ‘এখনও লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজের ওপর নিয়মিত আক্রমণ চালাচ্ছে হুতি বিদ্রোহীরা। সে কারণেই তাদের অস্ত্রসম্ভার ধ্বংস করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’ ইরানের মদতপুষ্ট হুতিদের বিরুদ্ধে এটি অষ্টম আক্রমণ বলে পেন্টাগন জানিয়েছে। সপ্তাহখানেক ধরে হুতিদের বিরুদ্ধে লাগাতার এই আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, সোমবারের এই আক্রমণ সমর্থন করেছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, বাহরাইন ও নেদারল্যান্ডস।
সোমবার বিকেলে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের যুদ্ধজাহাজ এবং সাবমেরিন থেকে লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে বলে জানা গেছে। একইসঙ্গে ইয়েমেনে হুতি অধ্যুষিত অঞ্চলে যুদ্ধবিমান থেকে বোমাবর্ষণ করা হয় বলেও জানানো হয়েছে। হুতি নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজধানী সানা ও পার্শ্ববর্তী একাধিক প্রদেশ।
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলাদা আলাদা করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলছেন। সোমবার কথা বলেছেন পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ইসরায়েলকে দুই-দেশ নীতি গ্রহণ করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ, রাজনৈতিকভাবে ফিলিস্তিনের অবস্থান মেনে নেওয়ার আবেদন জানান তিনি। বস্তুত, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রায় সব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীই এ বিষয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা করবেন। পাশাপাশি ফিলিস্তিনের নেতাদের সঙ্গেও তারা বৈঠক করবেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী অবশ্য এখনও নিজের অবস্থানে অনড়। এখনও ফিলিস্তিনের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করতে তিনি নারাজ।
অন্যদিকে, ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েল থেকে শতাধিক মানুষকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। তাদের একটি অংশকে মুক্তি দেওয়া হলেও এখনও অনেকেই বন্দি। সোমবার ইসরায়েলের পার্লামেন্টে একটি বৈঠক চলাকালে সেখানে জিম্মিদের পরিবারগুলো হাজির হয়। তারা সেখানে বিক্ষোভ করেন। তাদের অভিযোগ, পার্লামেন্টে বসে বৈঠক করার সময় এটা নয়, দ্রুত জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হোক। বস্তুত, রোববার জেরুজালেমে তারা একটি অস্থায়ী মঞ্চও তৈরি করেছেন। সেখানে বসে লাগাতার বিক্ষোভ করছেন তারা।
এমএইচ