tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:১৫ পিএম

ভোটের অধিকারের কথা আমাকে শেখাতে হবে না: প্রধানমন্ত্রী


38735221

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ভোটের অধিকারের কথা আমাকে শেখাতে হবে না।


আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেব- এ শ্লোগানটি আমারই। অথচ, কেউ কেউ আমাকে এখন সুষ্ঠু ভোটের কথা শেখাতে আসছে। আমাকে ভোটের অধিকারের কথা শেখাতে হবে না। রাজনীতিতে নতুন আসিনি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা ভোট চুরির করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে, আজকে তাদের মুখেই সুষ্ঠু ভোটের কথা শুনতে হচ্ছে। আসলে আমাদেরও একটি দোষ আছে, আমরাই নির্বাচন নিয়ে বেশি কথা বলি। আমাদের ভোট নিয়ে বিদেশিরা কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে।’

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় গণভবনে যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফরের নানা দিক তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশটি আজকে এগিয়ে যাচ্ছে বলেই কারও কারও পছন্দ হচ্ছে না। আসল কথা হচ্ছে, তারা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে এত কথা বলছে কেনে? এখানেই আমারও প্রশ্ন, ‘সন্দেহ হয় রে… আমার সন্দেহ হয়।’

তিনি বলেন, ভোট ডাকাতের মুখে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনে সন্দেহ হয়। আওয়ামী লীগের আন্দোলন সংগ্রামে মানুষ ভোট ও ভাতের অধিকার পেয়েছে। এখন নির্বাচন নিয়ে এত কথা কেন?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে খুব বেশি কথা শুনি। যারা ভোট চুরি ও ডাকাতি করেছে, তাদের কাছ থেকে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনতে হয়। সব যায়গায় এটা প্রচার করে বেড়াচ্ছে। সামরিক স্বৈরশাসক যখন ছিল, তখন তো আমরা সংগ্রাম করেছি, মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে। আমরা ক্ষমতায় এসে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করেছি। জনগণের ভোটের অধিকার আওয়ামী লীগই তাদের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সিস্টেম বিএনপি নষ্ট করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘২০০৭ ও ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অভিজ্ঞতা আমাদের খুব ভালো হয়নি। এরপরও কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় কীভাবে? এই সিস্টেমটা তো বিএনপিই নষ্ট করেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। আমি আমাদের লোকদের বলে দিয়েছি, তারা যত পারে আন্দোলন করুক। তাদের আন্দোলন ও সমাবেশে অনেক লোক হচ্ছে। এটা ভালো। তাদের সমাবেশে মানুষ আসছে, খাচ্ছে, টাকা নিচ্ছে। এতে অন্তত একটা ভালো দিক হচ্ছে, মানুষ বিএনপির সমাবেশে এসে কিছু মানুষ টাকা পাচ্ছে। আমি এখন সাংবাদিকদের বলব, আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন, বিএনপি সমাবেশে লোক আনতে এতো পরিমাণ টাকা পাচ্ছে কোথা থেকে। এটা খোঁজ নিয়ে দেখা উচিত।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনের কারণে আমাদের দলের লোকেরাও এখন কিছুটা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারাও একটু ঝিমিয়ে পড়েছিল। এখন আবার একটু চাঙাভাব এসেছে আমাদের দলের নেতাকর্মীদের মাঝে। বিএনপি যদি আবার সন্ত্রাস করে তাহলে উচিত জবাব দেওয়া হবে।’

বিএনপি যা বলে তার সবই মিথ্যা’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মিথ্যা কথায় কেউ কান দেবেন না। মিথ্যা কথায় কেউ বিশ্বাস করবেন না। সারাদিন আমাদের সমালোচনার জন্য বিএনপির একটা মাইক লাগানো থাকে।’

‘জি-২০ সম্মেলন থেকে প্রধানমন্ত্রী খালি হাতে ফিরেছেন’, বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপির এই অভিযোগের কোনো উত্তর দিতে চাই না। আমি শুধু দেশবাসীকে বলতে চাই, বিএনপির নেতারা একটি মাইক হাতে কীভাবে মিথ্যা কথা বলে সেটা সবাই জেনে নেন। মিথ্যা বলাটা তাদের অভ্যাস। আর সব কিছুকে খাটো করে দেখার চেষ্টা করে তারা। এই বিষয়ে দেশবাসীকে সচেতন থাকতে হবে।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে। আর টিকে আছে মিথ্যার ওপরে। তাদের শেকড় তো নেই। তারা মিথ্যার ওপর নির্ভর করে। এটাই করবে। এটা তাদের অভ্যাস। বিএনপির একটা মাইক লাগানো থাকে সারাদিন আমাদের সমালোচনা করে।’

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে কাজ করছি। যারা আজকে আমাদের সমালোচনা করছে, সেই বিএনপি কী করেছে? তাদের সময় তো মানুষ খাবারই পায়নি। আমরা কৃষি উৎপাদন বাড়িয়েছি। মানুষের খাদ্যের যোগান দিচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপে একটি টমেটোর দাম কতো, সেটা আমরা জানি। মানুষকে টাকা দিয়েও সীমিত খাবার কিনতে হচ্ছে। অথচ, আমরা বাজার স্বাভাবিক রেখেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা কৃষিতে ভর্তুকি দিয়ে কৃষিপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু এরপরও বিএনপি আমাদের সমালোচনা করে চলেছে। ওদের একটা মাইক লাগানোই থাকে, সারাক্ষণ কেবল আমাদের সমালোচনা করেই চলেছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাকে বেশি কথা বললে, সব বন্ধ করে বসে থাকবো। ভোটে আসলে আবার করব। দেখি কে দায়িত্ব নিতে রাজি হয়। সব রেডি করে দিয়েছি, এখন বসে বসে বড় বড় কথা বলে। আমি বাবা-মা সব হারিয়েছি। আমার হারাবার কিছু নেই। ১৫-১৬ বছর বয়স থেকে মিছিল করি। কত বছর হয়েছে রাজনীতির? একটা স্বপ্ন ছিল জাতির পিতার, সেটা করেছি, এখন তো কেউ না খেয়ে থাকে না।

তিনি বলেন, ভোটের জন্য তো আমরা সংগ্রাম করলাম, আমাকে ভোটের হিসাব শেখাতে হবে না। আমরা সেই আইয়ুব খানের আমল থেকে আন্দোলন করে রাস্তায় থাকি। আমরা এমন না যে নতুন এসেছি। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া সবই তো ভোট চোর। আওয়ামী লীগ আসার পর আওয়ামী লীগের ভোট চুরি করতে হয়নি। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছেন। কাজের মধ্য দিয়ে আমরা মানুষের আস্থা অর্জন করি। আর এই দেশের মানুষ এখন জানে নৌকায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। নৌকায় ভোট দিয়ে অর্থনৈতিক মুক্তি পেয়েছে। নৌকায় ভোট দিয়ে মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন ৪১ ভাগ থেকে ১৮ ভাগে নামিয়ে এনেছি। এটা কারো এনজিওয়ের মাধ্যমে হয়নি, কারো ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে হয়নি। বরং আমরা ক্ষুদ্র সঞ্চয় করাচ্ছি। আমরা দারিদ্র্যসীমা কমিয়ে এনেছি, বর্তমানে দেশে হতদরিদ্র মাত্র পাঁচ পার্সেন্ট। ইনশাআল্লাহ ওটুকুও থাকবে না। হতদরিদ্র থাকবে না। এখন একটা সন্দেহের বিষয় আছে, আমাদের মানুষ কতটুকু সচেতন সেটা হলো কথা। তবে কিছু লোক তো আছে, যারা চোখ থাকতে অন্ধ এবং কান থাকতে বধির। তাহলে তো আর কিছু করা যায় না।

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এখানে শুধু এমপি সাহেব ও ডাক্তার সাহেবদের দাঁড় করিয়ে দিলে হবে না। এখানে নিজেদের সচেতন হতে হবে। নিজের ঘর-বাড়ি পরিষ্কার রাখা, মশা কোথায় জন্মাচ্ছে সেটা দেখতে হবে। মশার প্রজনন ক্ষেত্র যেন তৈরি না হতে পারে এ ব্যাপারে সবার দায়িত্ব থাকতে হবে। সরকারের পক্ষে থেকে এ বিষয়ে প্রচেষ্টা আছে এবং প্রচেষ্টা চলবে। এ ব্যাপারে গবেষণাও চলছে, ইতোমধ্যে শুনলাম জাপান না কি টিকা আবিষ্কার করেছে। এগুলো তো আসলে সময় সাপেক্ষ।

তিনি বলেন, আমি দেশবাসীকে বলব সবাই নিজের ঘর-বাড়ি পরিষ্কার রাখুন এবং মশারি টানিয়ে ঘুমান। এখন তো ফ্যাশন হয়ে গেছে... কেউ মশারি টানায় না। অথচ মশারি টানানো একান্ত দরকার। ওষুধ দিতে দিতে মশাও চালাক হয়ে যায়,সেও ওষুধ সহ্য করে ফেলে। সেজন্য সবারই মশারি টানানো উচিৎ। এছাড়া ঘর-বাড়ি ও ছাদসহ আশপাশের এলাকায় যেন পানি জমে না থাকে, সে বিষয়ে সবাই যদি এলাকাভিত্তিক উদ্যোগ নেয়, তাহলে কিন্তু ডেঙ্গুর প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের যেটুকু করার আমরা সেটি সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া, চিকিৎসার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া... যা যা দরকার সেটি আমরা করছি।

তিনি আরও বলেন, যতই কমিটি করুন আর যাই করুন, মানুষের সচেতনতাটা যতক্ষণ না আসবে, নিজের ঘর-বাড়ি যতক্ষণ পর্যন্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না রাখবে, নিজেকে সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা না রাখবে... ততক্ষণ পর্যন্ত এটা খুব বেশি যে করা যাবে তা নয়। কলকাতার অভিজ্ঞতা আমরা নেব, তারা কীভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করল এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

বঙ্গবন্ধুকন্য বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যথেষ্ট সচেতন। বারবার টেলিভিশনসহ সব জায়গায় বলা হচ্ছে, সারাক্ষণ কিন্তু আমরা প্রচার করে যাচ্ছি। এখন মানুষ কতটুকু সচেতন হয় সেটি হলো কথা। কোনো একটা জিনিস পরে থাকলে সেখানে গিয়ে মশা জমা হয়, পানি থাকলেও মশা জমা হয়। আসলে জাতিগতভাবে আমাদের একটু নিজেদের সচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার। এটা খুবই দুঃখজনক এভাবে ডেঙ্গুতে মানুষ মারা যাচ্ছে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার সেটি আমরা করছি।

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন কোন বিবেচনায় দেওয়া হবে তা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মানুষের কাছে যাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে, সেটাই আমরা বিবেচনায় দেখব, বিবেচনা করব। প্রতি ছয় মাস পর পর আমি কিন্তু সার্ভে করি। কারো পজিশন খারাপ হলে সরাসরি মুখের ওপর বলে দিই। আমরা প্রপার সচেতন বলে নির্বাচনে জনগণের আস্থা পাই, ভোট পাই এবং নির্বাচনে জয়ী হই।

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের কাছে কার গ্রহণযোগ্যতা বেশি, যারা সংসদ সদস্য আছেন তারা কতটুকু জনগণের জন্য কাজ করেছেন, জনগণের আস্থা, বিশ্বাস কতটুকু অর্জন করেছেন, আমরা সেটাকেই বিবেচনা নিই। সেটা বিবেচনায় নিই বলে আমরা নির্বাচনে জয়ী হয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে পারি। আমাদের সংসদ সদস্য, মন্ত্রীরা যদি আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ না করত, তাহলে বাংলাদেশের এত পরিবর্তন হতো না।

তিনি আরও বলেন, কতগুলো দুর্যোগ এসেছে, দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের কত নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে। এই করোনার সময় আমাদের অনেক নেতাকর্মী, অনেক সংসদ সদস্য মানুষের সেবা করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন।

তিনি বলেন, জনগণ সম্পৃক্ত ও দল সুসংগঠিত না হলে কোনো সমস্যা মোকাবিলা কঠিন হয়ে যায়। আমরা পারি শুধু একটাই কারণে– আমাদের সুসংগঠিত রাজনৈতিক দল আছে, আমাদের কর্মীরা নিবেদিত প্রাণ। যখনই মানুষের জন্য ডাক দিয়েছি তারা ছুটে গেছে মানুষের কাছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আপনাদের সার্ভিস দেয়, তাদের সুযোগ সুবিধার বিষয়টিও তো দেখতে হবে বলে মনে করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা-তো ওয়েজবোর্ড দিয়েছি। বেসরকারি টেলিভিশনের মালিকদের দায়িত্ব ওয়েজবোর্ড কার্যকর করা। বেসরকারি টেলিভিশনের মালিকদের বলবো, খালি টাকা কামালে হবে না। যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আপনাদের সার্ভিস দেয়, তাদের সুযোগ সুবিধার বিষয়টিও দেখতে হবে।

তিনি বলেন, টেলিভিশন-রেডিও বেসরকারিভাবে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। যার কারণে অনেকে কাজের সুযোগ পেয়েছে। অনেকে এটা সাহসও করেনি। আমাকেও বলেছে, আপনার বিরুদ্ধেই বলবে। আমি বলেছি, বললে বলবে। আমি খারাপ করলে বলবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওয়াশিংটন সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভানের সঙ্গে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা হয়। আমি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সরকারের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টি যাতে উন্নয়নশীল দেশের ওপর চাপ সৃষ্টির রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা না হয়, সেজন্য বিশ্ব নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তার বিষয়ে আলোচনা হয়। আমি সবুজ জলবায়ু তহবিলে অর্থায়ন এবং “লস এন্ড ড্যামেজ” ফান্ডকে কার্যকর করার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, জেইক সুলিভান নারী শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সন্ত্রাস দমনের মতো বিষয়গুলোতে সরকারের অর্জনের প্রশংসা করেন। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য তিনি আবারও বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী জানান, সভায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে জোরদার করার বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেছে দুই দেশ।

তিনি বলেন, আমাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থানকে যেমন আরও সুদৃঢ় করেছে, তেমনি বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও বিস্তৃত করবে বলে আমি আশাবাদী। সামগ্রিক বিবেচনায় এবারের জাতিসংঘ অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ অত্যন্ত সফল বলে আমি মনে করি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কাঠামো তৈরির প্রস্তাব করেছি।

এসময় প্রধানমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্র সফরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সাইড লাইনে বিশ্ব নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ে কয়েকটি বৈঠক করেছেন তিনি। এসব বৈঠকে বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বেগম মতিয়া চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এমবি