tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৬ পিএম

নববর্ষের বিকেলেও ফাঁকা ঢাকা


paakaa_ddhaakaa

অন্যান্য বার নববর্ষের প্রথম বিকেলে ঢাকা লাল-সাদায় তরঙ্গায়িত হলেও এবার বলা চলে ফাঁকা।


পবিত্র ঈদুল ফিতরের পরপরই বাংলা নববর্ষ; সব মিলিয়ে এবারের ছুটিটা ছিল বেশ দীর্ঘ। এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন রাজধানীতে বসবাসকারীদের অনেকেই। তার প্রমাণ দিচ্ছে পহেলা বৈশাখের বিকেল। সড়কে আছে দু’একটি গণপরিবহণ, সিএনজি। রিকশার সংখ্যাও কম। ব্যক্তিগত গাড়ি যা দেখা মিলছে, তাও উল্লেখযোগ্য না। মেট্রোরেলেও যাত্রী অন্যদিনের তুলনায় কম।

রোববার (১৪ এপ্রিল) ঢাকার ব্যস্ততম সড়ক ফার্মগেট থেকে গুলিস্তান, আজিমপুর থেকে গাবতলী, ফার্মগেট থেকে আব্দুল্লাহপুর, মালিবাগ থেকে বাড্ডা এলাকার চিত্র বলছে এসব কথা।

বেসরকারি কোম্পানির চাকুরিজীবী গোলাম রহমত বলেন, বাংলাদেশ সচিবালয় স্টেশন থেকে প্রায়ই মেট্রোরেলে চড়ি। আজ পহেলা বৈশাখে ভিড় বেশি হবে মনে করেছিলাম। কিন্তু, এ দিনেই প্রথমবারের মতো মেট্রোরেলে বসে চড়ার সুযোগ পেলাম। শুধু তা-ই নয়, এ সময় আরও কিছু সিটও খালি ছিল। যদিও শাহবাগ স্টেশন থেকে যাত্রী বাড়তে থাকে।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্স। সেখানের একজন চালক শফিকুল বলেন সড়কে যানবাহন নেই বললেই চলে। যেকোনো জায়গায় সময় মতো পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। রাজধানীতে এর আগে কোনো পহেলা বৈশাখে এমন পরিস্থিতি দেখিনি। অন্তত, বিকেল এতটা ফাঁকা থাকবে, চিন্তাই করিনি।

খালেকুজ্জামান রিকশাচালক। যাত্রীকে নিয়ে আজিমপুর থেকে কারওয়ান বাজারে এসে থামেন। তিনিও জানান একই কথা।

রামপুরায় থাকেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহযোগী অধ্যাপক। তিনি জানান, পহেলা বৈশাখ বাংলা ঐতিহ্যের অনুষঙ্গ। এদিন মেতে ওঠেন আপামর জনসাধারণ। এটা কোনো ধর্মীয় উৎসব না হওয়ায় সবার অংশগ্রহণ থাকে। কিন্তু, দীর্ঘ ছুটি রাজধানীর পহেলা বৈশাখকে ম্লান করে দিয়েছে। তবে, জেলায় জেলায় এবারের পহেলা বৈশাখ অনেকটা রঙিন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখলাম। কারণ হিসেবে আমার মনে হয়েছে, সেখানে রাজধানীতে বসবাসকারীরা ছুটি কাটাচ্ছেন। ফলে বলাই যায়, রাজধানীর উচ্ছ্বলতা ছড়িয়ে পড়েছে জেলায় জেলায়।

এসএম