দেশে এক ধরনের নষ্ট রাজনীতির দুষ্টু চর্চা রয়েছে
Share on:
দেশে এক ধরনের নষ্ট রাজনীতির দুষ্টু চর্চা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আইজিপি বেনজীর আহমেদ দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৩৪ বছরের কর্মজীবন শেষে অবসরে যাচ্ছেন। অবসরে যাওয়ার আগে শেষ কর্মদিবসে নিজের বর্নাঢ্য ক্যারিয়ারের নানা অর্জনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, দেশে এক ধরনের নষ্ট রাজনীতির দুষ্টু চর্চা ছিল, এখনো রয়েছে। এ চর্চায় কেউ কেউ অন্যায়ভাবে আমাকে বিপক্ষে আবিষ্কার করেছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই, আপনারা ভালো থাকবেন।
আইজিপি বলেন, আমরা সবাই মিলেই বাংলাদেশ। হাতে হাত রেখে দায়িত্ব পালন করে আমরা সবাই মিলে এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমার ৩৪ বছর ৫ মাস ১৬ দিন কর্মজীবনের মধ্যে ২০১০ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত ১২ বছর পুলিশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পদে দায়িত্ব পালন করেছি। ডিএমপি কমিশনার, র্যাব ডিজি ও সর্বশেষ আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অনেক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেছি। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আপনারা সমর্থন জুগিয়েছেন, দেশবাসীও সমর্থন জুগিয়েছেন। তাই সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
ড. বেনজীর বলেন, ধারাবাহিক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বপালনকালে চেষ্টা করেছি মানুষের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। চাকরির শেষ দিন মানে আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে জীবনের একটি পাতা উল্টিয়ে নতুন পাতা পড়ার চেষ্টা। তার মানে আগামীকাল থেকে দেখা হবে না-কথা হবে না— এমনটি নয়। সামাজিক জীব হিসেবে সবার সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে, যেখানেই সুযোগ পাব একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করব।
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ পুলিশের দুটি বিষয় বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আলোচিত— উল্লেখ করে তিনি বলেন, কীভাবে আমরা সফলভাবে করোনা ক্রাইসিস অতিক্রম করেছি এবং সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের সাফল্যের বিষয়ে সবাই জানতে চায়। কিছুদিন আগে জাতিসংঘে কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে, আমরা কীভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সফল হয়েছি।
পোশাকে এটাই সর্বশেষ প্রেস ব্রিফিং— উল্লেখ করে পুলিশ প্রধান বলেন, বর্তমান পুলিশ আগের চেয়ে অনেক বেশি গণমুখী। আমাকে আপনারা যেভাবে সহযোগিতা করেছেন, একইভাবে পরবর্তী দায়িত্বে যারা আসবেন তাদেরও সহযোগিতা করবেন।
এমআই