টানা ছুটিতে সিলেটে নেমেছে পর্যটকদের ঢল
Share on:
ষড়ঋতুর বাংলাদেশে যেকোনো মৌসুমেই পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় থাকে সিলেট।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেটের অপরূপ ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশ দেখতে সবসময় ছুটে যান পর্যটকরা। ছুটি পেলেই তারা হাজির হন দলবল ও পরিবার পরিজন নিয়ে। তাইতো টানা তিনদিনের ছুটিতে সিলেটের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে নেমেছে পর্যটকদের ঢল।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিন সিলেট নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকদের চাপ দেখা যায়। তাদের গন্তব্য পূণ্যভূমি সিলেটের বিভিন্ন পর্যটন স্পট।
সিলেটের সোবহানী ঘাট পয়েন্টের জোনাকি রেস্টুরেন্টে কথা হয় চট্টগ্রাম থেকে আসা আবুল হোসেনের সঙ্গে। মেঘালয় ভ্রমণের উদ্দেশ্যে সিলেটে আসা এ পর্যটক বলেন, টানা তিনদিন ছুটি পেয়েছি। আজ এবং আগামীকাল ভারতে ছুটি কাটাবো। পরশুদিন সিলেটে থাকবো। এখন জাফলংয়ের বাসের জন্য সোবহানীঘাট পয়েন্টে অপেক্ষা করছি। আশা করছি খুব আনন্দে কাটবে এই কয়েকদিন।
জাফলং তামাবিল রোডের পরিবহন শ্রমিক আফতাব মিয়া জানান, সকাল থেকে আমাদের প্রতিটি বাস নির্ধারিত সময়ে সিলেট থেকে জাফলংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছে। আজ সকালের প্রথম গাড়িটি পর্যটকে ঠাসা ছিল। তাদের মধ্যে কেউ কেউ জাফলং ঘুরতে যাচ্ছেন আবার কেউ কেউ মেঘালয় ভ্রমণের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
ট্রাভেলার্স অব সিলেটের মডারেটর রেদুয়ান রাফি বলেন, আমাদের ৩৮ জনের একটি টিম আজ সকালে মেঘালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।তিনদিন পর আমরা দেশে ফিরবো। টানা ছুটির কারণে স্বাভাবিকভাবেই সিলেটে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে।
এদিকে সকাল থেকেই সিলেটের প্রধান প্রধান পর্যটন স্পট যেমন রাতারগুল, সাদাপাথর, বিছানাকান্দি, জাফলংয়ে বাড়তে শুরু করেছে পর্যটকদের পদচারণা। ধারণা করা হচ্ছে এসব স্পষ্টগুলোতে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হবে।
পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে ট্যুরিস্ট পুলিশ জাফলং জোনের ইন্সপেক্টর রতন শেখ বলেন, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় আমরা সবসময় নিয়োজিত আছি। পর্যটকরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারেন সেজন্য আমরা কাজ করছি। এছাড়াও বিভিন্ন স্পটে প্রবেশের টিকিটের মূল্য, নৌকার ভাড়া নির্ধারণ করা আছে। কোনো অবস্থাতেই এর থেকে বেশি নেওয়া যাবে না। কেউ যদি এর ব্যত্যয় ঘটায় আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
এমবি