গরমে ভ্রমণের সময় করণীয়
Share on:
পবিত্র রমজান মাস চলছে। এ সময় তীব্র গরমে বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা রোজাদার মুসলমানদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যেতে হবে। এদিকে প্রচণ্ড গরমে যাত্রাপথে ভোগান্তি হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
প্রতি বছর ঈদের সময় নানা সমস্যা পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। কারণ রাস্তায় ঘরমুখী মানুষের ঢল নামে। ফলে তীব্র যানজট তৈরি হতে পারে।
গরমে ভ্রমণের আগে বাড়তি সচেতনতা জরুরি। যেন গরমের তীব্রতা উপেক্ষা করে আনন্দময় ঈদ কাটিয়ে আসতে পারেন।
গরমে ভ্রমণের সময় যা করবেন-
(১) আবহাওয়ার খোঁজ :
যাত্রার দিন আবহাওয়ার খোঁজ রাখার পাশাপাশি ছুটির দিনগুলো যে এলাকায় থাকবেন, সেখানকার আবহাওয়া কেমন থাকবে তার অগ্রিম খবর নিন। যদি গরম কিছুটা কমার সম্ভাবনা থাকে, তবে কোনো চিন্তার কারণ নেই। তা না হলে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজাতে হবে।
(২) আরামদায়ক পোশাক :
ভ্রমণের সময় আরামদায়ক পোশাক পরুন। গরমে সুতির পোশাক হতে পারে সবচেয়ে আরামদায়ক। ভুলেও সিনথেটিক পোশাক পরতে যাবেন না। এতে পুরো পথ অস্বস্তিতে ভুগবেন। এ সময় হালকা রঙের পোশাক পরুন। এতে গরম কম অনুভূত হবে। সেইসাথে ঈদের সময়টাতেও এ ধরনের পোশাকই বেছে নিলে বেশি আরাম পাবেন।
(৩) সানগ্লাস :
সানগ্লাস তো নিতেই হবে। অবশ্যই নন ব্র্যান্ডেড কোনো সানগ্লাস কিনবেন না। এতে চোখের ক্ষতি হয়। তাই দাম একটু বেশি হলেও ব্র্যান্ডেড সানগ্লাস কিনুন। এতে আপনার চোখ রোদের তীব্রতা থেকে রক্ষা পাবে। সাথে রোদ থেকে বাঁচার জন্য ছাতা, ক্যাপ ও সানস্ক্রিন রাখতে ভুলবেন না।
(৪) ফার্স্ট এইড :
ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাওয়ার সময় ফাস্ট এইড বক্স সাথে রাখুন। তাতে প্রয়োজনীয় ও জরুরি ওষুধ-পত্র রাখুন। কারণ হাতের কাছে সব সময় সব ওষুধ নাও থাকতে পারে। ফাস্ট এইড বক্স রাখলে প্রয়োজনে কাজে দেবে।
(৫) যাত্রার আগে ভারী খাবার নয় :
গরম যাত্রার আগে সাহরি বা ইফতারে ভারী খাবার একদমই খাবেন না। এর বদলে হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। সাথে বিশুদ্ধ পানির বোতল রাখুন। যেকোনো সময় প্রয়োজন হতে পারে। পথেই ইফতার বা সাহরি খেতে হলে সেই ব্যবস্থা করেই বের হোন। কারণ পথের খাবার অস্বাস্থ্যকর হওয়ার ভয় বেশি থাকে।
(৬) রাতে ভ্রমণ :
সম্ভব হলে রাতের বেলা ভ্রমণের চেষ্টা করুন। এ সময় গরমের তীব্রতা কম থাকে। হ্যান্ডব্যাগে গামছা বা তোয়ালে রাখুন। গরমের কারণে বেশি ঘামলে এটি কাজে লাগবে। পা ঘেমে যাওয়ার সমস্যা থাকলে সুতির মোজা পরে বের হতে পারেন।
ঈদে ঘরমুখী মানুষের চাপে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। মনে রাখবেন, অন্যরা আপনার মতোই আবেগ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। তাই সবাই সবার প্রতি সহানুভূতিশীল হোন।
কেবল নিজের দিকে নয়, যাত্রাপথে অন্যদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে কি না সেদিকেও খেয়াল রাখুন। সবার ঈদ যাত্রা সুন্দর হয়ে উঠুক।
এন