গণপ্রতিনিধিত্বশীল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ঐক্যবদ্ধ হোন : সেলিম উদ্দিন
Share on:
মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনা ও দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও গণপ্রতিনিধিত্বশীল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ বিদস উপলক্ষে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগরী উত্তর আমির বলেন, আমাদের ভাষা আন্দোলন বিশ্ব ইতিহাসের এক অনন্য সাধারণ ঘটনা। ৫২-র ভাষা আন্দোলন শুধু ভাষার জন্য ছিল না বরং এই আন্দোলন স্বাধীকার আন্দোলনের জোরালো ভিত্তি রচনা করেছিল। সে পথ ধরেই আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলাম। কিন্তু অতীব পরিতাপের বিষয় যে, দীর্ঘকালের পরিক্রমায় আজও আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও বাক-স্বাধীনতা ফিরে পাইনি।
মহল বিশেষের অহমিকা ও ক্ষমতালিপ্সার কারণে ভাষা শহীদদের যথার্থভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। দীর্ঘদিন পরেও রাষ্ট্রের সকল স্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন করা যায়নি। এমনকি চিকিৎসা, প্রকৌশল ও আইন বিষয়ক গ্রন্থগুলোও এখনো বাংলা ভাষায় অনুবাদ করা যায়নি। দেশের উচ্চ আদালতে মাতৃভাষায় আজও রায় লেখা হয় না। যা আমাদের জাতীয় ব্যর্থতা। তিনি ভাষা আন্দোলনে শহীদদের পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
তিনি বলেন, ১৯৪৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল। তমদ্দুন মজলিস এ আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। অধ্যাপক গোলাম আযম ছিলেন ভাষা আন্দোলনের অগ্রসৈনিক। তিনি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের কাছে মানপত্রও পাঠ করেছিলেন। অধ্যাপক গোলাম আযম ডাকসুর নির্বাচিত জিএস হলেও রাজনৈতিক সংকীর্ণতা ও হীনমন্যতার কারণে ডাকসুর নামফলক থেকে তার নাম মুছে ফেলা হয়েছে।
সেলিম উদ্দিন বলেন, সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে কারারুদ্ধ অবস্থায় ইতিহাসের এই মহীরূপতুল্য ভাষাসৈনিক মৃত্যুবরণ করেছেন। মহল বিশেষের প্রতিহিংসার কারণেই ভাষা আন্দোলনের কৃতিত্ব থেকে অধ্যাপক গোলাম আযমকে বঞ্চিত করা করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিন্তু এতে তারা সফল হয়নি; হবেও না বরং ইতিহাসই প্রকৃত ভাষা সৈনিকদের মর্যাদা নিশ্চিত করবে। তিনি ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে স্ব স্ব অবস্থান থেকে সকলকে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
রামপুরায় বার্ষিক সদস্য (রুকন) সম্মেলন: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের রামপুরা দক্ষিণ থানার উদ্যোগে আজ এক বার্ষিক রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। থানা আমির ইঞ্জিনিয়ার এম এ রশীদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট খালেদ সাইফুল্লাহ তারেকের পরিচালনায় রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা।
উপস্থিত ছিলেন থানা নায়েবে আমির আব্দুল লতিফ, থানা কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন, আশিকুর রহমান প্রমুখ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি