বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ : “আমি একজন সাধারণ প্রবাসী”
Share on:
বি.খন্দকার : আমি একজন সাধারণ প্রবাসী, বছরে বেশ কয়েকবার দেশে আসা যাওয়া হয় তাই কম বেশি অনেক ঘটনার সাক্ষী আমি নিজেই।
ঢাকা এয়ারপোর্টে লাগেজ কেটে মালামাল চুরির ঘটনা আমরা সবাই জানি আপনারাও জানেন কিন্তু এখন পর্যন্ত এর সমাধান আমরা পাইনি।
একজন প্রবাসী বছরের পর বছর ধরে হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে হাজারটা স্বপ্ন বুকে নিয়ে দেশে ফেরত আসে। লাগেজের ভিতরে আসলে খুব আহামরি জিনিস পাবেন না।
মূলত, লাগেজ এর ওজনের চেয়ে আবেগের ওজন কয়েক গুণ বেশি, কারণ হাজারো স্বপ্ন লুকিয়ে আছে এই লাগেজের মধ্যেই।
এই লাগেজ কাটা বন্ধের জন্য ঢাকা এয়ারপোর্ট বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, কিন্তু কোনোটাই আজ পর্যন্ত সফল হয়নি।
কারণ, গ্রাউন্ড স্টাফ নামক ট্যাগ লাগিয়ে চোরের একটি সিন্ডিকেট এই কাজগুলো বছরের পর বছর ধরে করেই যাচ্ছে। যাইহোক যেহেতু যুগের পর যুগ ধরে একই সমস্যা যাচ্ছে তাই আগামী কয়েক দশকেও এর সমাধান আসবে কিনা আমার সন্দেহ আছে।
বর্তমান ঢাকা এয়ারপোর্টের লাগেজ ডিপার্টমেন্টে কি হচ্ছে এগুলো যাত্রীরা কিছুই জানেনা যতক্ষণ না পর্যন্ত তার ব্যাগ বুঝে পায়।
এছাড়াও লাগেজ কাটার পর সিন্ডিকেটের সবাই ফেরেস্তা হয়ে যায় কেউ জানেই না এই বিষয়ে কি হয়েছে।
সমাধান :
যদি এয়ারপোর্টে দায়িত্বরত অফিসারদের চোখে এগুলো ধরা না পরে তাহলে লাগেজের দায়িত্বটি যাত্রীদেরকে বুঝিয়ে দিন।
প্লেন থেকে লাগেজ কন্টেইনার নামানোর সময় থেকে শুরু করে ক্যারাসলের বেল্টের শেষ পর্যন্ত ক্যামেরা লাগিয়ে সেগুলো ক্যারাসলের সামনের টিভিতে লাইভ প্রদর্শন করুন। এতে করে যাদের লাগেজ আছে তারা খেয়াল রাখতে পারবে কি হচ্ছে ভিতরে।
এছাড়াও যারা গ্রাউন্ডে কাজ করছে তারাও সতর্কতার সাথে কাজ করবে কারণ তাদের সব কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে এবং শত শত মানুষ লাইভ দেখছে।
পরিশেষে এইটুকু নিশ্চিত করে বলা যায়, এখানে লাগেজ কাটাতো দূরের কথা লাগেজ উড়িয়ে ফেলেও দিতে পারবেনা। যার ফলে ফ্রাজেল আইটেম গুলোর ক্ষতি হবেনা।
ধন্যবাদ
লেখক :
প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি
ইউনাইটেড গ্লোরি অব বাংলাদেশ (ইউজিবি)
এন