tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
শিক্ষা প্রকাশনার সময়: ১৯ নভেম্বর ২০২২, ০৯:১৪ এএম

দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যে জড়িয়ে আছে ঢাবি


রাষ্ট্রপতি১

বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন উদযাপন উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।


শনিবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন উপলক্ষে নবীন গ্র্যাজুয়েট, অভিভাবক, শিক্ষকমণ্ডলীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম বৃহৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৯২১ সালে মুক্তবুদ্ধি চর্চার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এই বিদ্যাপীঠের যে অগ্রযাত্রা সূচিত হয়েছিল, নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজও সেই মূলধারা বিকাশমান রয়েছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ শিক্ষায়তন থেকেই দেশের সাধারণ মানুষের মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মহান মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র-শিক্ষক নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি সেসব বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।

আবদুল হামিদ প্রত্যাশা করেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ, বিজ্ঞানমনস্ক ও মানবিকবোধ-সম্পন্ন জাতি গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান-সাবেক শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আরও কার্যকর ও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে জাতির প্রত্যাশা অনেক। এবারের সমাবর্তনের মাধ্যমে যারা নতুন করে কর্মজীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছে তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আশা করি, তোমরা দেশপ্রেম, মানবিক মূল্যবোধ ও সৃজনশীলতা দিয়ে নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দেশের কল্যাণে কাজ করে যাবে।

আজকের এই মহামারি ও যুদ্ধ জর্জরিত পৃথিবীতে মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন তরুণ প্রজন্মের একান্ত প্রয়োজন— এ কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সম্প্রীতি, পরমতসহিষ্ণুতা, সব প্রকার সংকীর্ণতামুক্ত উদার জীবনচেতনা এবং সাংস্কৃতিক বহুতে ঐক্যসন্ধানী মানুষের সংখ্যা যত বৃদ্ধি পাবে, ততই বাংলাদেশ তথা গোটা বিশ্বে প্রশান্তময় পরিস্থিতি বিরাজ করবে। আমি আশা করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন গ্র্যাজুয়েট ও গবেষকরা সমৃদ্ধ দেশ ও পৃথিবী গড়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। একইসঙ্গে সমাবর্তনের মধ্যদিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও তার একাডেমিক উৎকর্ষ সাধনে ধারাবাহিক সাফল্য বজায় রাখবে।

তিনি নবীন গ্র্যাজুয়েটদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তনের সফলতা কামনা করেন।

এন