tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৪ পিএম

গ্রেফতারি পরোয়ানার আতঙ্কে নেতানিয়াহু!


netaniyahu-2-20240419173439

নেতানিয়াহু ও তার নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর বেশ কয়েক জন জেষ্ঠ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি।


গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান এবং তাতে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘণের অজস্র ঘটনার দায়ে । নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পথে।

শিগগিরই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আইসিসির রয়েছে বলে বিশেষ সূত্রে নিশ্চিত হয়েছে ইসরায়েল সরকার। সম্ভাব্য এই পদক্ষেপ ঠেকাতে তাই সম্প্রতি নিজ কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন নেতানিয়াহু।

ইসরায়েলের বর্তমান যুদ্ধকালীন বিশেষ মন্ত্রিসভার বিচার বিষয়ক মন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন, স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এবং সরকারপন্থী বেশ কয়েকজন আইনজীবও আইন বিশেষজ্ঞ উপস্থিতি ছিলেন।

গত মঙ্গলবার রাতে এ বৈঠক হয়েছিল বলে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলকে নিশ্চিত করেছে রাষ্ট্রটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর।

বুধবার জেরুজালেম সফরে গিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালিনা বেয়ারবক। তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময়ও আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেপ্তারি পরোনার প্রসঙ্গটি নেতানিয়াহু তুলেছিলেন বলে জানা গেছে। পরোয়ানা ঠেকাতে তিনি এই দুই দেশের সরকারের সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে হামাস এবং আইডিএফের মধ্যে ব্যাপক সংঘাত হয়েছিল। সেই যুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো নিয়ে ২০১৯ সালে তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেয় আইসিসি। পরে করোনা মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর এই কাজ স্থগিত থাকার পর ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ফের তদন্ত শুরু করে আইসিসি।

সেই তদন্তের অংশ হিসেবে গত ডিসেম্বরে ইসরায়েল সফরে এসেছিলেন আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম খান। ইসরায়েলি প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর আপত্তির কারণে গাজা সফরে যেতে পারেননি তিনি তবে সেই সফর শেষে ফিরে যাওয়ার আগে তিনি বলেছিলেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা এবং তার জবাবে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান কোনো স্বতঃস্ফূর্ত ঘটনা নয় এবং যেসব সহিংসতা পূর্বে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে, সেসব হামাস এবং আইডিএফের পূর্ব পরিকল্পিত বলে তিনি মনে করছেন। এ সংক্রান্ত কিছু সাক্ষ্যপ্রমাণও তার হাতে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।

করিম খানের সফরের তিন মাস পর এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রক্রিয়া আইসিসি শুরু করেছে বলে জানা গেছে, যা নিয়ে উদ্বেগে পড়েছে ইসরায়েরের সরকার।

সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল

এসএম