হুথিদের ওপর আবারও বিমান হামলা চালালো যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য
Share on:
ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের ওপর আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এ নিয়ে গত দেড় মাসে চতুর্থবারের মতো যৌথ হামলা চালালো মিত্র দেশ দু’টি।
গত শনিবারের (২৩ ফেব্রুয়ারি) এই হামলায় হুথিদের অন্তত ১৮টি স্থাপনা ধ্বংস করার দাবি করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর পেন্টাগন। হামলার লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে হুথিদের ব্যবহৃত হেলিকপ্টার, ড্রোন, রাডার, অস্ত্র গুদাম এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল বলে জানিয়েছে তারা।
অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস এবং নিউজিল্যান্ড এই হামলাকে সমর্থন দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, মিত্রদের সঙ্গে তারা হুথিদের ক্ষমতাকে আরও কমানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌরুটে বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না যুক্তরাষ্ট্র।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগর দিয়ে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলা চালাচ্ছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। তারা নিশানা করছে মূলত ইসরায়েল ও পশ্চিমা দেশগুলোর পণ্যবাহী জাহাজগুলোকে।
হুথিদের এই হামলার কারণে বেশ কয়েকটি বড় শিপিং কোম্পানি লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল স্থগিত করেছে। এসব জাহাজ এখন আফ্রিকা ঘুরে কয়েক হাজার মাইল পথ অতিরিক্ত পাড়ি দিয়ে এশিয়া থেকে ইউরোপ-আমেরিকায় যাতায়াত করছে।
সাগরে হুথিদের হামলার পাল্টা জবাবে গত ১১ জানুয়ারি থেকে ধারাবাহিকভাবে যৌথ হামলা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
একটি যৌথ বিবৃতিতে পেন্টাগন বলেছে, শনিবার ইয়েমেনের আটটি স্থানে হুথিদের ভূগর্ভস্থ অস্ত্রগুদাম, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবংআকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌরুটে চলাচলকারী বাণিজ্যিক নৌযান এবং নিরীহ নাবিকদের জীবনকে যারা হুমকির মুখে ফেলছে, সেই হুথিদের ক্ষমতাকে অবনমিত করার লক্ষ্যে তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে ধ্বংস করতেই নির্ভুলভাবে হামলা চালানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এখন পর্যন্ত হুথিরা ৪৫টির বেশি পণ্যবাহী জাহাজ ও অন্যান্য নৌযানে হামলা চালিয়েছে। এতে বিশ্ব অর্থনীতির পাশাপাশি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়েছে। কাজেই এটি আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার দাবি রাখে।
আর সেজন্য অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস এবং নিউজিল্যান্ডের সমর্থনে হুথিদের ওপর এই বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
এনএইচ