tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
অপরাধ প্রকাশনার সময়: ০৭ অগাস্ট ২০২৩, ১৭:০৩ পিএম

প্রকৃত অপরাধী শনাক্ত না হওয়ায় তদন্ত প্রতিবেদন পিছিয়েছে: র‍্যাব


র‌্যাব

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার প্রকৃত অপরাধীরা এখনও শনাক্ত না হওয়া তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।


সোমবার (০৭ আগস্ট) দুপুরে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছেন র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত আমরা অনেক আন্তরিকতার সঙ্গে গুরুত্ব দিয়ে করছি। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানিতে ডিএনএ স্যাম্পল পাঠিয়েছি। ওখান থেকে আসা প্রতিবেদনে দুইজন সাসপেক্টের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। এই দুইজন সাসপেক্টকে আমরা এখনও শনাক্ত করতে পারিনি। তাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আদালতের নির্দেশে সাংবাদিক দম্পতি সাগর রুনি হত্যা মামলার তদন্ত আমরা করছি। আমরা যে তদন্ত প্রতিবেদন দেব এখানে যেন কোনোভাবেই কোনো নির্দোষ ব্যক্তি দোষী না হয়, মূলত ‌এই বিষয় আমলে নিয়ে আমরা তদন্ত করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, খুব কম হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে এমনটি হয়, যে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিতে আলামত ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তবে এই মামলার ক্ষেত্রে আমরা আলামতের ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানিতে পাঠিয়েছি। শুধুমাত্র এই হত্যা মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে। প্রাথমিকভাবে যাদের সন্দেহ করা হয়েছিল এবং প্রাথমিকভাবে যাদের র‍্যাব ও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল তাদের আলামতও পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওই কোম্পানি থেকে পাঠানো প্রতিবেদন আমরা যাচাই-বাছাই করে দুইজন সাসপেক্ট পেয়েছি যাদেরকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি। আমাদের ধারণা, ওই সাসপেক্ট দুইজন সম্ভাব্য অপরাধী। এই বিষয়ে আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। এই দুইজনকে শনাক্ত করার পর আমরা বলতে পারব যে আর কতদিন লাগবে।

১০০ বার তদন্ত প্রতিবেদন পিছিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিকের বিষয় না। আমাদের মূল উদ্দেশ্য তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করা। কোনো নির্দোষ ব্যক্তি যেন এখানে দোষী না হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনো ব্যক্তি একদম ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না তারপরও আদালতে প্রতিবেদনে তার নাম চলে যায়। আবার অনেকে আছেন যিনি ঘটনার সম্পর্কে কিছুই জানেন না কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে জেলে আছেন। আমরা এই ধরনের বিতর্কে জড়াতে চাচ্ছি না। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত শেষ করতে আগেও দেখা গেছে যে বেশি সময় লেগেছে।

সন্দেহভাজন দুইজন সম্ভাব্য অপরাধীকে শনাক্ত করতে ‍র‍্যাবের জন্য অনেক কঠিন হচ্ছে জানিয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, এই ঘটনার পরবর্তীতে আলামত সংগ্রহ করা অনেক কঠিন কাজ ছিল। এই সাংবাদিক দম্পতি অনেক জনপ্রিয় ছিলেন। ঘটনার পর সেখানে অনেক মানুষ গিয়েছিলেন। এখানে আলামতের একটি বিষয় ছিল।

এখন পর্যন্ত র‍্যাব-পুলিশ যাদের গ্রেপ্তার করেছে তাদের মধ্যে ওই দুইজন সন্দেহভাজন ছিল কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহ হয় আমরা ২৫ জনের আলামত ডিএনএর পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলাম। যাচাই-বাছাই করে আমরা দুজন সন্দেহভাজন পেয়েছি যাদের শনাক্ত করা যায়নি। তাদের শনাক্ত করা গেলে এ বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যাবে। এ ঘটনায় প্রকৃত কারা জড়িত এই ধরনের সঠিক তথ্য আমরা পাইনি।

এখন পর্যন্ত যে ২৫ জন গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে কিনা? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত যে তদন্ত হয়েছে আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তারা সুনিশ্চিত না তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা।

এমবি