tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫১ এএম

গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল এখন প্রায় কবরস্থান : ডব্লিউএইচও


gaza-3-20231114102253

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল পরিণত হচ্ছে কবরস্থানে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এমনকি গাজার এই হাসপাতালটি মৃতদেহ দাফন করতে পারছে না বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।


গাজায় টানা প্রায় দেড় মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলা হচ্ছে হাসপাতালেও। গাজার সবচেয়ে বড় দুটি হাসপাতাল ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার বৃহত্তম আল-শিফা হাসপাতালকে ‘প্রায় কবরস্থান’ বলে বর্ণনা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত এই হাসপাতালটি গত কয়েকদিন ধরে তীব্র লড়াই প্রত্যক্ষ করছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জোর দিয়ে বলেছে, হাসপাতালের নিচে অবস্থিত একটি টানেলে হামাস কমান্ড-এন্ড-কন্ট্রোল সেন্টার পরিচালনা করছে। তবে হামাস এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এটি অস্বীকার করেছে।

এই পরিস্থিতিতে ডব্লিউএইচওর মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেছেন, এখনও প্রায় ৬০০ জন হাসপাতালটিতে রয়ে গেছেন এবং অন্যরা হাসপাতালের হলওয়েতে আশ্রয় নিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের আশপাশে এমন অনেক মৃতদেহ পড়ে আছে যেগুলোর কাছে যাওয়া যাচ্ছে না, এমনকি দাফনও করা যাচ্ছে না বা সেগুলো উদ্ধার করে কোনও মর্গেও নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। যেভাবে কাজ করা উচিত হাসপাতালটি এখন আর সেভাবে কাজ করছে না। এটি এখন প্রায় একটি কবরস্থান।’

এদিকে হাসপাতালে মৃতদেহ জমে ও পচে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ড. মোহাম্মদ আবু সেলমিয়া বিবিসিকে বলেছেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এখনও পচনশীল মৃতদেহগুলোকে দাফন করার জন্য হাসপাতালের বাইরে নেওয়ার অনুমতি দেয়নি। এতে করে কুকুররা এখন হাসপাতালের মাঠে ঢুকে মৃতদেহ খেতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে আল-শিফা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে রোগীরা। জেনারেটর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালের ইনকিউবেটরে থাকা কয়েক ডজন শিশুর জীবনও ঝুঁকির মুখে পড়েছে। মূলত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে তারা ইনকিউবেটরে আর থাকতে পারছে না।

সেলমিয়া জানান, অক্সিজেনের অভাবে সাতটি শিশু মারা গেছে।

অবশ্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সিনিয়র উপদেষ্টা মার্ক রেগেভ দাবি করেছেন, ইসরায়েল ওই শিশুদের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিলেও হামাস সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।

এনএইচ