tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ০৪ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৬ পিএম

হামাসের প্রতি কমলা হ্যারিসের আহ্বান


image-781030-1709543661

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।


একই সঙ্গে তিনি গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ইসরাইলকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রোববার কমলা হ্যারিস বলেন, হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধের ফলে সাধারণ মানুষ ভয়াবহ মানবিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযানের পাঁচ মাস পর যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র কোনো নেতার পক্ষ থেকে এ ধরনের শক্ত মন্তব্য আসল। কমলা হ্যারিস ইসরাইলকে গাজায় আরও অধিক মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। কারণ সেখানে কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হয়েছে।

গতকাল হামাসের প্রতিনিধি দল গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরাইলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে মিসরের কায়রো পৌঁছায়। কিন্তু এ আলোচনায় অগ্রগতি কতটুকু সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তবে ইসরাইলের পত্রিকা ইয়েদিওথ আহরোনোথের অনলাইন ভার্সনে বলা হয়েছে, বেঁচে থাকা জিম্মিদের পুরো নাম তালিকাবদ্ধ করতে হামাস অস্বীকৃতি জানানোর পর ইসরাইল তাদের সঙ্গে আলোচনা বাতিল করেছে।

ওয়াশিংটন বলছে, রমজানের আগেই হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। এ সম্পর্কে ইসরাইল একটি ফ্রেমওয়ার্কও তৈরি করে ফেলেছে।

কমলা হ্যারিস তার বক্তব্যে গত সপ্তাহে ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরাইলের হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহতের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গাজার উত্তরে কোনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে না। ফলে অনেকে খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরাইলের হামলার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছে।

গাজায় ইসরাইলের হামলার পাঁচ মাস পর শনিবার বিমান থেকে খাদ্য ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওইদিন ৩৮ হাজার প্যাকেটজাত খাবার বিমান থেকে ফেলা হয় বলে জানানো হয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবরে ইসরাইলের অভ্যন্তরে ঢুকে স্মরণকালের ভয়াবহ হামলা চালায় হামাস। ওই হামলায় বিদেশি নাগরিকসহ ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়। জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয় ২৫৩ জনকে। এ ঘটনার পরই গাজায় জল, স্থল ও আকাশ থেকে হামলা শুরু করে ইসরাইল। এ হামলায় এখন পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। যার মধ্যে নারী ও শিশুই বেশি।

এসএম