tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ২৮ অগাস্ট ২০২৪, ১৫:৪৬ পিএম

রাষ্ট্র সংস্কারে টিআইবির ৫৫ সুপারিশে যা আছে


image-843945-1724836431

রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে অর্থপাচার প্রতিরোধে টাস্কফোর্স গঠনসহ ৫৫ সুপারিশ দিয়েছে ট্রান্সপ্যারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআইবি) বাংলাদেশ। বুধবার রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে এই সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে।


এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আন্তর্জাতিক দুর্নীতবিরোধী সংগঠনটির বাংলাদেশ শাখার নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। এ সময় টিআইবির উপদেষ্টা ড. সুমাইয়া খায়ের উপস্থিত ছিলেন।

৫৫ দফা সুপারিশের মধ্যে অন্যতম হলো- ব্যাংকিং খাতে ঋণ জালিয়াতি, সকল প্রকার প্রতারণা এবং অনিয়ম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকের পরিচালক ও কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ব্যাংকিং খাতের সমস্যা সমাধানে ব্যাংক কমিশন গঠন করতে হবে। বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি চার্জ বাতিল করতে হবে। জাতীয় সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের সংসদীয় ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচিত সংসদ সদস্যসহ জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে গণঅনান্থা প্রকাশের মাধ্যমে অপসারণ এবং ওই এলাকায় নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

লিখিত বক্তব্যে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলনিরপেক্ষ করতে নির্বাচনকালীন অন্তবর্তী সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্বকারী গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে এর আগে আনা সব সংশোধনী বাতিল করতে হবে। একই ব্যক্তি একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, দলীয় প্রধান ও সংসদ নেতা থাকতে পারবে না। এক ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকতে পারবে না।

সংসদীয় স্থায়ী কমিটি শক্তিশালী করে নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহিতা নিশ্চত করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারে অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহতা নিশ্চিতে একটি রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।

সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ সাপেক্ষে সুনিষ্ট নীতিমালা বা আইন প্রণয়ন করতে হবে। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে বিচারপতি অপসারণের এখতিয়ার সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ওপন ন্যস্ত করতে হবে। সকল আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিহনী ও প্রশাসনকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করতে ঢেলে সাজাতে হবে।

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য পুলিশের বাইরে একটি স্বাধীন কর্তৃপক্ষ গঠন করা প্রয়োজন। সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এবং সরকারি কর্মচারী (আচরণ বিধি) ১৯৭৯ হালনাগাদ করতে হবে। বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বন্ধ করতে হবে।

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের ফৌজদারি আইনে গ্রেফতারে সরকারের অনুমতির বিধান বাতিল করতে হবে। সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সংস্কার করতে হবে। জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের কার্যক্রমের ওপর গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপ ও নজরদারি বন্ধ করতে হবে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদ মাধ্যমে বস্তুনিষ্ট তথ্য পরিবেশনে বাধা সৃষ্টিকারী ধারা আইন থেকে বাতিল করতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, এসব সংস্কার করতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে কতটা লাগবে তা নির্ধারণ করবে অন্তর্বর্তী সরকার। কেননা এই সরকার জনগণের ম্যান্ডেড নিয়ে এসেছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প মানেই সম্পদ আহরণের মাধ্যম। এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

এমএইচ