ইতিহাস গড়লেন এশিয়ার প্রথম এমিজয়ী আনা
Share on:
এশিয়ার কেউ প্রথম এমি জিতলেন, গড়লেন ইতিহাস। সেই ইতিহাসের মহানায়িকা হিসেবে নাম লেখালেন জাপানী অভিনেত্রী আনা সাওয়াই।
হুলুতে দেখানো ‘শোগান’ সিরিজ এমনই আলোচনার জন্ম দিয়েছিল যে, এবারের এমিতে সেটি জিতে নিয়েছিল ২৫টি মনোনয়ন। জিতল ১৮টি। তার মধ্যে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন আনা। সেরা অভিনেতা হিরোউকি সানাডা।
গতকাল রোববার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের পিকক থিয়েটারের মঞ্চে ৭৬তম প্রাইমটাইম এমি অ্যাওয়ার্ডস নিতে উঠে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন আনা। তিনি বলেন, ‘আমার নাম ঘোষণা করার আগেই আমি কাঁদতে শুরু করি। নামটা শোনার পর পুরো এলোমেলো হয়ে গিয়েছিলাম।’ পরিবারকে ধন্যবাদ জানিয়ে ৩২ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার ওপর আস্থা রেখে চরিত্রটি করার সুযোগ দেওয়ায় ধন্যবাদ। এটি আমার জীবনের সেরা কাজ হয়ে থাকবে।’ এ ছাড়া তিনি ধন্যবাদ দেন টেলিভিশন অ্যাকাডেমি, সিরিজের নির্মাতা র্যাচেল কন্ডো ও জাস্টিন মার্কসকে।
মায়ের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আনা বলেন, ‘মা, তোমাকে ভালোবাসি। তোমার কারণেই আজ আমি এখানে। তুমি আমাকে আত্মসংযম ও সুখেদুঃখে নিস্পৃহতার আদর্শ শিখিয়েছিলে। সে কারণে আমি মারিকো চরিত্রটি ধারণ করতে পেরেছি।’ ‘শোগান’ সিরিজে তাডা মারিকো নামে এক রহস্যময়ীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনা সাওয়াই। চরিত্র প্রসঙ্গে পিপল ম্যাগাজিনকে তিনি বলেছিলেন, ‘যখন শুটিং শেষ করি, ভেবেছিলাম শেষ, এই চরিত্র ভুলে যাব। কারণ পরদিন আমাকে অন্য একটি ছবির কাজ শুরু করতে হবে। যখন আমরা ‘শোগান’-এর প্রচারণা শুরু করলাম, মনে হলো তখনও আমি চরিত্রটায় ডুবে আছি। কারণ কোনো দৃশ্য বা চরিত্রটি কিছু বলতে শুরু করলেই আমার চোখে জল এসে যাচ্ছিল।’
এমি অ্যাওয়ার্ডসের অনুষ্ঠানের আগে ভোগ ম্যাগাজিনকে আনা বলেন, ‘ছবিটার শুটিং শেষ হওয়ার পর মাকে একটা উপহার দেব ভেবেছিলাম। কারণ তিনি আমাকে এই পেশায় আসার অনুমতি দিয়েছিলেন। আমি তার জন্য একটা আংটি কিনে রেখেছিলাম। নিজের জন্য কিনতে পারিনি, কারণ জিনিসটা বেশ দামি। দামি জিনিসটা আমি গুরুত্বপূর্ণ ওই মানুষটিকেই দিতে চেয়েছিলাম।’
আনা অভিনীত ‘শোগান’ পেয়েছে সেরা ড্রামা, সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেতা, সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার। এ ছাড়া সেরা অতিথি চরিত্রসহ মোট ১৮টি পুরস্কার। এর আগে ২০১৯ সালে এই পুরস্কারে ৩২টি মনোনয়ন পেয়েছিল ‘গেম অব থ্রোনস’। ‘শোগান’ ১৭ শতকের গৃহযুদ্ধ চলাকালীন জাপানের গল্প তুলে ধরেছে।
এমএইচ