মদ বহন করা পাঁচ ফুটবলার জাতীয় দলে নিষিদ্ধ হচ্ছেন
Share on:
বাফুফে নির্বাহী সভায় মূল আকর্ষণ ছিল তদন্ত রিপোর্ট। প্রায় আড়াই মাস আগে জমা দেয়া সেই রিপোর্ট সভা শেষে বুধবার প্রকাশ করেছে বাফুফে নির্বাহী কমিটি।
রিপোর্টে নিষিদ্ধ সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে তদন্ত রিপোর্টের সুপারিশ নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। জানা গেছে সভায় উপস্থিত সকলের মতামত চাওয়া হয়েছে। যা পর্যালোচনা করে আগামী নির্বাহী কমিটির সভায় নেয়া হবে সিদ্ধান্ত।
এছাড়া সম্প্রতি দেশের তারকা ফুটবলাররা মদ আনার ঘটনাটি বেশ আলোচিত হচ্ছে। এ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে সভায়। সভা শেষে এদের জাতীয় দলের ক্যাম্পে না ডাকারই ইঙ্গিত দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে গত ১৪ই এপ্রিল বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে ফিফা। এরপর অধিকতর তদন্তে নামে বাফুফে।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ৩১শে জুলাই রিপোর্ট জমা দেয় বাফুফে সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদের নেতৃত্বাধীন কমিটি। বুধবার সেই রিপোর্ট প্রকাশ করে বাফুফে। তদন্ত রিপোর্টে সকল দায় নিষিদ্ধ সোহাগ ও চাকরিচ্যুৎ প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন, প্রধান হিসাবরক্ষক অনুপম হোসেন ও ম্যানেজার মিজানুর রহমানের ওপর চাপিয়ে নিজেদের দায়ম্ক্তু করেছে বাফুফে কর্তারা। পাশাপাশি গ্রাসরুট ম্যানেজার হাসান মাহমুদ ও কম্পিটিশন ম্যানেজার জাবের বিন তাহের আনসারির কাজেও ত্রুটি পেয়েছে কমিটি। যদিও কারো বিরুদ্ধে কোনও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেনি তারা।
বাফুফে নির্বাহী কমিটিও এই ব্যাপের কোনও প্রকার সিদ্ধান্ত নেয়নি। জানা গেছে আগামী সভায় সবার মতামতের ওপর ভিত্তি করে তারা সিদ্ধান্ত নিবেন। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হলেও চাকরীর মেয়াদ বাড়ছে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারের। সোহাগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর ইমরানকে ছয় মাসের জন্য সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয় বাফুফে। সেই মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী বছরের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। এদিকে মালদ্বীপের ম্যাচ শেষে দেশে আসার সময় ৬৪ বোতল মদ বহন করা পাঁচ ফুটবলারের ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন কমিটির অনেকে।
সভা শেষে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘তিন চার দিন আগে বসুন্ধরা কিংস আমাকে একটা চিঠি দিয়েছে। সেখানে তারা কয়েকজন খেলোয়াড়দের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানিয়েছে এবং ডিসিপ্লিনারি বিষয়ে তদন্ত করছে জানিয়েছে।’ অভিযুক্ত পাঁচ ফুটবলার হচ্ছেন আনিসুর রহমান জিকো, তপু বর্মণ, মোরসালিন, সবুজ ও রিমন। এর মধ্যে জিকো, তপু ও মোরসালিন জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। ১২ই অক্টোবর মালদ্বীপের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ। এই ম্যাচে তারা ডাক পাবেন কিনা এই প্রশ্নও উঠেছে। বাফুফে সভাপতির শৃঙ্খলা রক্ষার দিকেই বেশি মনোযোগ।
তিনি বলেন, ‘ক্লাব একটি শৃঙ্খলার বিষয়ে তদন্ত করছে। একটি ক্লাব যখন তদন্ত করে বা চিঠি দেয় তখন সেটিকে সম্মান দেখানো দরকার।’ জাতীয় দলের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা বিশ^কাপ বাছাইয়ের জন্য ১৫ জনের দল ঘোষণা করেছেন। বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়দের এখনো ডাকেননি। অভিযুক্ত ফুটবলারররা কিংসের। তাই কোচ তাদের ডাকবেন কিনা এই প্রশ্নও এসেছে। এর উত্তরে সালাউদ্দিন বলেন, ‘শৃঙ্খলার বিষয়ে ক্লাব, ফেডারেশন, কোচ একসূত্রেই কাজ করা উচিত। আমার যতটুকু মনে হয় কোচ শৃঙ্খলার দিকেই থাকতে পারেন।’
এমবি