মজুতের অভিযোগ পেলেই গ্রেপ্তার : কৃষিমন্ত্রী
Share on:
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুতদারদের বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে বৈঠক করতে আসেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কি। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ কথা বলেন।
সেদিন আপনারা আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করলেন। সেখানে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। বর্তমানে সেই পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, মজুতদারি কিছুটা ছিল, এখন সেটি নেই তা বলা যাবে না। তবে আমরা এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে শক্ত ভূমিকা নিয়েছি। এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে দিয়েছেন যে, ‘যেই এটা করবে, তাদের গ্রেপ্তার করো। জানিয়ে দাও, এ বিষয়ে আমাদের কোনো ছাড় নেই।
তিনি বলেন, পণ্যের দাম যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেটি আমরা দেখব। আরেকটা জিনিস হলো, চালের দাম বাড়লে তাতে মানুষের ওপর চাপ পড়ে। এ বিষয়ে আমরা সজাগ আছি। আমরা বলেছি, এ বিষয়ে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে যতটুকু সহযোগিতা দরকার, সেটি করা হবে। আমরা চেষ্টা করব, যাতে দাম বেড়ে না যায় এবং কৃষকেরাও যাতে দাম পায়, আবার মজুতদারিও যাতে না হয়। সিন্ডিকেট যাতে না হয়, সেগুলো ভাঙা হবে। সিন্ডিকেট ভাঙার পদ্ধতি আমাদের জানা আছে।
আব্দুস শহীদ বলেন, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার সুযোগ নেই। নিজেও আমি দুর্নীতির পক্ষে না। আমি রাজনীতি করি, সাংবাদিকরা আমাকে সবাই চেনেন। আমার কোনো দুর্নীতি নেই।
সার সংকট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুস শহীদ বলেন, আমার কাছে তথ্যচিত্র আছে। ইউরিয়ার চাহিদা হলো ২৭ লাখ টন। নিরাপত্তা মজুত ছয় লাখ টন। চাহিদা ৩৩ লাখ। আমাদের হাতে যে সার আছে, তাতে কোনো সংকট নেই।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, রাশিয়া আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু। স্বাধীনতার সময় থেকে তারা আমাদের বন্ধু আছে। আগামীতেও থাকবেন। ঢাকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত এসেছেন সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে। তারপরে আমরা সার নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদের কাছ থেকে সার আনছি।
রাশিয়ায় আমরা পেঁয়াজ, ফুলকপি ও আলু রপ্তানি করব। যদি মান নিয়ন্ত্রণে কোনো সমস্যা না হয়, আমরা তো অবশ্যই পরীক্ষা করব, পরীক্ষা করে সেগুলো রপ্তানি করব। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর। আমের বিষয়টি তারা বারবার বলছিলেন। তারা আগেও আমাদের আম খেয়েছেন। পোকা-মাকড় না থাকলে তারা আমাদের দেশ থেকে আম নেবে।
এসএম