tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:০০ পিএম

মীর কাসেম আলী তার কর্মের মাঝে বেঁচে থাকবেন : ডা. শফিক


জামায়াত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, মীর কাসেম আলী দেশের জন্য যে কল্যাণমূলক কাজের সূচনা করে গিয়েছেন তা চলতে থাকবে দীর্ঘকাল পর্যন্ত। তিনি তার কর্মের মাঝে বেঁচে থাকবেন। মহান আল্লাহর নিকট আমরা বিশেষভাবে দোয়া করি মহান রব যেন তার এসব কল্যাণমূলক কাজের পূর্ণ প্রতিদান প্রদান করেন।


শনিবার মীর কাসেম আলীর স্মরণে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘জনাব মীর কাসেম আলী বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী ইসলামী জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। ইসলামী ব্যাংক-বীমাসহ বহু মসজিদ, মাদরাসা, বিভিন্ন ইসলামী ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ব্যাপারে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নিকট স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে তিনি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এ দেশের জনগণ তার কথা স্মরণ রাখবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণেই তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। সরকার পক্ষ তার বিরুদ্ধে আনীত কোনো অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেনি। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে সেগুলোর সাথে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। মীর কাসেম আলীকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’

জামায়াতের আমির বলেন, ‘তিনি দেশে যে জনকল্যানমূলক কাজের সূচনা করে গিয়েছেন তা চলতে থাকবে দীর্ঘকাল পর্যন্ত। তিনি তার কর্মের মাঝে বেঁচে থাকবেন। মহান আল্লাহর নিকট আমরা বিশেষভাবে দোয়া করি তিনি যেন মীর কাসেম আলীর সকল কল্যাণমূলক কাজ কবুল করেন ও জান্নাতে সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে উল্লেখ করছি যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকধারী এক দল লোক ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট রাতে মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিষ্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম আরমানকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তাকে তার পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দেয়া হয়নি। তার অবুঝ দুটি শিশু প্রতিনিয়ত তার বাবাকে খুঁজছে এবং তার ফিরে আসার প্রতীক্ষা করছে। ব্যারিস্টার আরমান তার বাবার আইনজীবী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। মীর কাসেমের পরিবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। আল্লাহ এ পরিবারকে ধৈর্য ধারণের তাওফিক দিন। তার অসমাপ্ত কাজ যাতে আমরা সমাপ্ত করতে পারি সেজন্য সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি ও দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।’ প্রেস বিজ্ঞপ্তি

এমআই