অস্ট্রেলিয়ার বিমানকে ধাওয়া দিয়েছে চীন
Share on:
অস্ট্রেলিয়ার একটি বিমানকে দক্ষিণ চীন সাগরে আন্তর্জাতিক আকাশসীমার কাছে বিপজ্জনক কৌশলে ধাওয়া দিয়েছে চীনা যুদ্ধবিমান।
ক্যানবেরা অভিযোগ করে বলেছে, অস্ট্রেলিয়ার বিমানকে বাধা দেওয়ার এই চেষ্টা বিপজ্জনক উপায়ে করা হয়েছে, যা বিমান এবং ক্রুদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলে দেয় বলে।
অস্ট্রেলিয়া বলছে, দক্ষিণ চীন সাগরে অস্ট্রেলিয়ার একটি নজরদারি বিমানের সামনে চলে আসার পর চীনা যুদ্ধবিমান থেকে আগুনের শিখা ছেড়ে দেওয়া হয়।
চীনা যুদ্ধবিমান পরে অস্ট্রেলিয়ার বিমানকে বিভ্রান্ত করতে অ্যান্টি-রাডার ডিভাইস ব্যবহার করে আগুনের শিখা নির্গমন করে। এই আগুনের শিখায় ছোট ছোট ধাতব পাত ছিল; যা অস্ট্রেলিয়ার বিমানের ইঞ্জিনে প্রবেশ করে।
দক্ষিণ চীন সাগরের বেশির ভাগ অঞ্চলকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে চীন। গত কয়েক বছরে সেখানে ব্যাপক সামরিক স্থাপনা নির্মাণ করেছে দেশটি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ফিলিপাইনসহ অন্যান্য আরও অনেক দেশ দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের দাবিকৃত ভূখণ্ডে নিজেদের মালিকানা দাবি করে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছেন, গত ২৬ মে দক্ষিণ চীন সাগরে নিয়মিত সামুদ্রিক নজরদারি কার্যক্রমের সময় চীনের একটি জে-১৬ যুদ্ধবিমান রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান এয়ার ফোর্সের (আরএএএফ) পি-৮ নজরদারি বিমানকে বাধা দেয়।
তিনি বলেন, বিপজ্জনক কৌশলে অস্ট্রেলীয় বিমানকে বাধা দেওয়া হয়েছে। যা পি-৮ বিমান ও এর ক্রুদের জন্য নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করেছিল।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস বলেন, চীনা যুদ্ধবিমানটি আরএএএফ বিমানের খুব কাছ থেকে উড়েছিল। পরে বিমানের সামনে এসে অগ্নিশিখা ছেড়ে দেয় চীনা বিমান। এই অগ্নিশিখায় অ্যালুমিনিয়ামের ছোট ছোট টুকরা ছিল; যা অস্ট্রেলিয়ার বিমানের ইঞ্জিনে ঢুকে যায়।
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম এবিসি টেলিভিশনকে মার্লেস বলেন, ‘এটি স্পষ্টতই অত্যন্ত বিপজ্জনক।’
তবে বেইজিং অস্ট্রেলিয়ার এই অভিযোগের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি। গত ফেব্রুয়ারিতে উত্তর অস্ট্রেলিয়ার আরাফুরা সাগরের আকাশে চীনা নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে অস্ট্রেলিয়ার একটি যুদ্ধবিমান লক্ষ্য করে সামরিক গ্রেডের লেজার রশ্মি নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
এইচএন