প্রতিবন্ধীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন ছাত্রলীগ নেতা
Share on:
নরসিংদীতে এক প্রতিবন্ধীকে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে হাসপাতালে পাঠালেন ছাত্রলীগ নেতা। শুক্রবার (৩১ মে) সকাল ৯টার দিকে চরমাধবদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু। তিনি সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী আহত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর নাম সোহেল মিয়া (৪০)। তিনি সদর উপজেলার চর-মাধবদী এলাকার মৃত সাইদ মিয়ার ছেলে।
নরসিংদী সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি বিভাগে বেডে শুয়ে আছেন সোহেল। পাশে রয়েছেন তার মা রেজিয়া বেগম। ছেলেকে পাশে নিয়ে কিছুক্ষণ পরপর কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তিনি।
আহত সোহেল মিয়ার মা রেজিয়া বেগম বলেন, বুধবার (২৯ মে) স্থানীয় জাকির হোসেনের মুদি দোকানে যায় আমার ছেলে। এ সময় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা বাবুর বাবা প্রতিবেশী মোখলেছুর রহমানের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়া নিয়ে কথাকাটাকাটি হয় সোহেলের। পরবর্তীতে স্থানীয় এলাকাবাসী বিষয়টি বৃহস্পতিবার মীমাংসা করে দেয়। মীমাংসার পরও শুক্রবার সকালে আমার প্রতিবন্ধী ছেলে বাজারে গেলে সাধারণ মানুষের সামনে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে কলাবাগানে তাকে ফেলে চলে যান ছাত্রলীগ নেতা বাবু। আমার কাছে বাড়িতে খবর আসে আমার ছেলেকে মেরে কলাবাগানে ফেলে রাখা হয়েছে। তার পুরো শরীরে আঘাতের দাগ। আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।
মারার সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাবুকে অনেকবার অনুরোধ করেছি প্রতিবন্ধী ছেলেটাকে যেন না মারা হয়। কিন্তু কারও কথা শুনল না। ছেলেটাকে মেরে কলাবাগানে ফেলে চলে গেছে। আমরা এলাকার মানুষ, তাকে কিছু বলতে পারি না। কথায় কথায় সে মানুষকে মারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা বাবু বলেন, আমার বাবা স্ট্রোকের রোগী। সোহেল আমার বাবাকে থাপ্পড় মারাসহ ধাক্কা দিয়ে একাধিকবার ফেলে দিয়েছে। এ ছাড়াও এলাকার বহু লোককে সে মেরেছে। ঘটনাস্থলে এসে বিস্তারিত খবর নিলেই বুঝতে পারবেন আসল ঘটনা কী ঘটেছিল।
মাধবদী থানার পাঁচদোনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এএসআই ইউছুফ আহমেদ জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত কিংবা মৌখিক অভিযোগ পাননি। পেলে অবশ্যই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এনএইচ