tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ১৭ জানুয়ারী ২০২৪, ১২:৩৩ পিএম

নির্বাচনে ২৪১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি: টিআইবি


tib-20240117122528

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ২৪১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি দাবি করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলছে, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক দেখাতে নিজ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করলেও বেশিরভাগ আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি।


বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া ট্র্যাকিং’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানায় সংস্থাটি।

টিআইবি জানিয়েছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়নি। ভোটের দিন সারাদেশে অধিকাংশ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাড়া অন্য দলের প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট ছিল না। প্রতিপক্ষের প্রার্থীদের এজেন্টদের হুমকির মাধ্যমে কেন্দ্রে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখা হয়।

৭ জানুয়ারির ভোটের দিন শেষ ঘণ্টায় ১৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়ার বিষয়টি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে বলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য নিবেদিত নাগরিক সমাজ সংস্থাটির প্রতিবেদন প্রকাশের অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে।

টিআইবি জানায়, নির্বাচনে শেষের এক ঘণ্টায় ১৫.৪৩ শতাংশ ভোটসহ মোট ৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়া বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপিসহ ১৫টি নিবন্ধিত দলের অনুপস্থিতি ও তাদের নির্বাচন বর্জনের কারণে বেশিরভাগ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। অন্তত ২৪১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি।

সেখানে আরও বলা হয়, ভোটের দিন স্বল্প ভোটার আগমন এবং ডামি লাইন তৈরি করে বিভিন্ন আসনে অন্যদলের প্রার্থীর এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়। ভোটের আগে ব্যালটে সিল মারা, ভোট চলাকালে প্রকাশ্যে সিল মারাসহ বিভিন্ন বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। প্রার্থীদের দেওয়া এমন তথ্য ওঠে এসেছে টিআইবির প্রতিবেদনে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে দুই বড় দলের বিপরীতমুখী ও অনড় অবস্থানের কারণে অংশগ্রহণমূলক ও অবাধ নির্বাচন হয়নি এবং এ বিপরীতমুখী ও অনড় অবস্থানকেন্দ্রিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের লড়াইয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জিম্মিদশা প্রকটতর হয়েছে। ক্ষমতায় অব্যাহত থাকার কৌশল বাস্তবায়নের একতরফা নির্বাচন সাফল্যের সাথে সম্পন্ন হয়েছে, যার আইনগত বৈধতা নিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ হয়তো হবে না বা হলেও টিকবে না। তবে এ সাফল্য রাজনৈতিক শুদ্ধাচার, গণতান্ত্রিক ও নৈতিকতার মানদণ্ডে চিরকাল প্রশ্নবিদ্ধ থাকবে।

এনএইচ