তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার মামার বাড়ির আবদার : ওবায়দুল কাদের
Share on:
তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার করে দেশে ফিরিয়ে আনা বিএনপির মামার বাড়ির আবদার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘যে নেতা রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়েছেন, তাকে দেশে ফেরানোর জন্য এত তাড়া কিসের? আগে তার মুচলেকা প্রত্যাহার করুক, তারপর দেখা যাবে।’
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা নগর পরিবহনের ২২ ও ২৬নং রুটে নগর পরিবহনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, সংসদ সদস্য সাদেক খান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরি প্রমুখ।
চট্টগ্রামে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ঘোষণা দিয়ে বিভাগীয় সমাবেশ করলে ১০ লাখের বেশি লোক হবে। বিএনপি ঘোষণা দিয়ে, ঢাকঢোল পিটিয়ে এক লাখের মতো লোক জমায়েত করতে পেরেছে।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘রাজপথে ফয়সালা হবে, সে লক্ষ্যে আন্দোলন করছেন, ভালো কথা। তবে আবারও লাঠিসোঁটা ও আগুন সন্ত্রাস করলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেখানে (গাইবান্ধায়) সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছিল। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়নি। প্রিসাইডিং অফিসারদের ভাষ্যমতে, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে। আমরা আশা করি, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে সিইসি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজধানীতে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, রিকশা-সিএনজির জট ও বাসের নৈরাজ্য চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। পথচারী-যাত্রীদের অভিযোগ, ইচ্ছা করেই মাঝ রাস্তায় বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো হতো। এছাড়া মূল সড়কে রিকশার কারণে যানজট লেগে থাকে। দুর্ঘটনাও ঘটে কোনো নিয়ম না মানায়। নগরবাসীর কথা চিন্তা করে পরিবহনখাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর বাস রুট রেশনালাইজেশনের আওতায় নতুন রুট দুটি হলো- ২২ ও ২৬ নম্বর। এর মধ্যে ২২ নম্বর রুট হলো- ঘাটারচর, ওয়াশপুর, বসিলা, বসিলা সিএনজি স্ট্যান্ড, মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড, টাউন হল, আসাদগেট, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ, কাকরাইল, ফকিরাপুল, মতিঝিল, টিকাটুলি, কাজলা, কোনাপাড়া এবং স্টাফ কোয়ার্টার পর্যন্ত। এছাড়া টিকাটুলি থেকে কাজলা পর্যন্ত ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে বাস চলাচল করবে।
২৬ নম্বর রুট হলো- ঘাটারচর, ওয়াশপুর, বসিলা, বসিলা সিএনজি স্ট্যান্ড, মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড, টাউন হল, আসাদগেট, সোবহানবাগ, কলাবাগান, সায়েন্সল্যাব, নিউ মার্কেট (নীলক্ষেত), আজিমপুর, পলাশী, চাঁনখারপুল, পোস্তগোলা, পাগলা (কদমতলী থানা) পর্যন্ত। এছাড়া এই রুটে চাঁনখারপুল থেকে পোস্তগোলা পর্যন্ত ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে বাস চলাচল করবে। ইতোমধ্যে প্রায় ৭০টি যাত্রী ছাউনি (বাস স্টপেজ) তৈরি করা হয়েছে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, বাস রুট রেশনালাইজেশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ৯টি ক্লাস্টার (৯টি ভিন্ন ভিন্ন রঙের), ২২টি কোম্পানি ও ৪২টি রুটের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সবুজ ক্লাস্টারে বর্তমানে চলমান মোট ৫৪টি রুটকে সমন্বয় করে ৮টি রুটে পরিণত করা হয়েছে। যাদের রুট নম্বর ২১ থেকে ২৮। ২১ নম্বর রুটটি বর্তমানে পাইলট রুট হিসেবে চলছে।
এর আগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর রুটে দিয়ে প্রথম ঢাকা নগর পরিবহনের যাত্রা শুরু হয়। ওইসময় মোট ৫০টি সবুজ রঙের বাস দিয়ে চালু হয়েছিল সেবাটি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ১০০টি বাসের মাধ্যমে ২২ এবং ২৬ নম্বর নতুন দুইটি রুট চালু হয়েছে। এই ১০০টি বাসের মধ্যে নগর পরিবহনের ৫০টি ও বিআরটিসির ৫০টি বাস রয়েছে।
এন